`ব্যাঙের ছাতা` হিসেবে পরিচিত মাশরুম খেতে চান না অনেকেই, অথচ এটি সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও উচ্চ খাদ্যশক্তি এবং ভেষজগুণে ভরপুর। এর মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ প্রোটিন আছে, যা অত্যন্ত উন্নত ও নির্ভেজাল। এতে উপকারী শর্করা ও চর্বি আছে। মাশরুম ছত্রাক পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। প্রায় ১৪ হাজার প্রজাতির মাশরুম এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে। তবে অনেক বিষাক্ত মাশরুম রয়েছে যেগুলো বনে জঙ্গলে পাওয়া যায় সেগুলো খাওয়া যায় না। চাষ করে খাওয়ায় ভাল।
মাশরুমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। ডায়াবেটিস কমানো থেকে শুরু করে ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও মাশরুম কাজ করে।
ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে
মাশরুম রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
ওজন কমায়
মাশরুমে ক্যালোরির পরিমাণ কম। তাই যারা ওজন কমাতে চান তারা খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। নিয়মিত মাশরুম খেলে ওজন কমে।
দাঁত ও হাড়ের গঠনে মাশরুম
মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন -ডি রয়েছে। যা বাচ্চাদের দাঁত ও হাড় গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এমনকি যারা পেশি বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খোঁজেন, তাদের জন্য মাশরুম প্রোটিনের সেরা উৎস হতে পারে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
কোলেস্টেরল কমানোর অন্যতম উপাদান এরিটাডেনিন, লোভাস্ট্যাটিন, এনটাডেনিন, কাইটি রয়েছে মাশরুমে। তাই মাশরুমকে খাদ্য তালিকায় রাখলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
মাশরুমে রয়েছে পটাসিয়াম, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে
মাশরুমে পেনিসিলিন থাকে, যা এক রকম অ্যান্টিবায়োটিক যেটি মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
অ্যানিমিয়া দূর করে
মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় তা রক্তশূন্যতাজনিত সমস্যা দূর করতে পারে। সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চার দিন মাশরুম খাদ্যতালিকায় থাকলে বেশ উপকারে আসে এক্ষেত্রে।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
শরীরে এন্টিবডি তৈরি হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা না হলে শরীরে বাসা বাঁধে নানা রকম অসুখ।মাশরুম পলিফেনল ও সেলেনিয়াম এর উৎস যাতে থাকে অনেক এন্টিঅক্সিডেন্ট। যেগুলোর ভেষজ গুন জীবন ঘাতী কিছু রোগ যেমন- স্ট্রোক, স্নায়ুরোগ ও ক্যান্সার এর থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেয়। এতে থাকা সালফার ও ইমিউনিটি বুস্ট করে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
চুল পড়া ও পাকা প্রতিরোধে
মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে সালফার সরবরাহকারী এমাইনো এসিড থাকায়, নিয়মিত খেলে চুল পড়া ও পাকা প্রতিরোধ করে।