• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

যে কারণে প্রতিদিন দুধ পান করা উচিত


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২, ২০২৪, ০৭:২৯ পিএম
যে কারণে প্রতিদিন দুধ পান করা উচিত
ছবি: সংগৃহীত

দুধ হচ্ছে সুপার ফুড বা সর্বগুণ সম্পন্ন খাবার। দুধের মধ্যে খাদ্যের ছয়টি উপাদান—কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, স্নেহ, ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি—সঠিক অনুপাতে পাওয়া যায়। মানবদেহকে সুস্থ রাখতে এটি অতুলনীয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পরামর্শ অনুযায়ী একজন মানুষের দৈনিক গড়ে ২৫০ মিলিলিটার দুধ পান করা উচিত। জেনে নিন যেসব কারণে একজন মানুষের প্রতিদিন দুধ পান করা উচিত।

  • শরীরের পানির চাহিদা পূরণে খুবই ভালো উত্স দুধ। দুধের ইলেক্ট্রোলাইট—যেমন: পটাসিয়াম ও সোডিয়াম—শরীরে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
  • পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণ মানব দেহের জন্য জরুরি বিষয়। হাড় শক্তিশালী রাখতে ক্যালসিয়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে শৈশব ও কৈশোরে যখন হাড়ের বৃদ্ধি হয় তখন ক্যালসিয়াম গ্রহণ বেশি জরুরি। প্রাপ্তবয়স্করা নিয়মিত ক্যালসিয়াম গ্রহণ করলে হাড়ের ঘনত্ব ঠিক থাকে এবং হাড় ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি কমায়। তাই প্রতিদিন দুধ পান করা জরুরি।
  • দাঁতের সমস্যায় দুধ খুবই কার্যকরী। দাঁতের ক্ষয় রুখতে প্রতিদিন নিয়ম করে দুধ পান করুন।
  • দুধে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল ফিটনেস বাড়ায় ও মানসিক চাপ দূর করতে সহায়তা করে। দুধ পানে ঘুমের উদ্রেক হয়, যার ফলে মস্তিষ্ক শিথিল থাকে ও মানসিক চাপমুক্ত হয়।
  • দুধ ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ, যা ক্যালসিয়াম ধরে রাখে এবং হাড় মজবুত করে।
  • দুধ মানুষের শরীরে পটাশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন এ, জিংকসহ নানা ধরনের পুষ্টি উপাদানের জোগান দেয়।
  • দুধে রয়েছে ভিটামিন বি১২, যা লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন করে, শরীরের স্নায়বিক কার্যক্রম পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • শরীরে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের মাত্রা ঠিক না থাকলে প্রি মেনস্ট্রুয়াল সিন্ড্রোম হতে পারে। তাই পিরিয়ডের সময় পেট ব্যথা ও অ্যাসিডিটির সমস্যা হলে খেয়ে নিন এক গ্লাস দুধ।
  • দুধে থাকা ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অপরিহার্য।
  • যারা ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগলে এবং স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে কম সময়ে ওজন কমাতে চাইলে, প্রতিদিনের ডায়েটে দুধ রাখুন। দুধের প্রোটিন ও স্নেহজাতীয় উপাদানের কারণে দীর্ঘ সময় ধরে সেটা পেটে থাকে। ফলে ক্ষুধা কম থাকে। এতে করে অতিরিক্ত খাওয়া কমিয়ে সামগ্রিকভাবে ক্যালোরি গ্রহণ কমাবে।

তবে খেয়াল রাখবেন, উচ্চ রক্তচাপের রোগী ও ওজন বেড়ে যাওয়া মানুষেরা দুধের সর খাবেন না। আর যাদের দুধ সহ্য হয় না, তারা পানি মিশিয়ে পাতলা করে খেতে পারেন।

Link copied!