গ্রীষ্মকালীন রসালো এই ফল যেমন স্বাদে ভরপুর তেমনি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। অসংখ্য গুণেভরা ও উপকারী এই ফল আমাদের দেহের কী কী ভূমিকা রাখে চলুন জেনে নিই—
- লিচুতে আছে প্রতিদিনের ১০০% এর বেশী এসর্বিক এসিড যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
- ভিটামিন সি থাকায় রক্তে শ্বেত কণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে ফলে শরীরে বাইরের কোন ক্ষতিকারক জীবাণু প্রবেশ করতে পারে না।
- লিচুতে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং পেট ব্যথার নিরাময় করে।
- লিচুতে আছে শক্তিশালী ভাইরাস বিরোধী গুণাবলী। এতে লিচিট্যানিন এ২ শরীরে ভাইরাস ছড়াতে বাধা দেয়।
- লিচুতে বেশী পরিমাণে কপার আছে যা শরীরে রক্ত সঞ্চালনের উন্নয়ন করে। আয়রনের মত কপারও শরীরে লোহিত রক্ত কণিকা উৎপাদনে সহায়তা করে।
- লিচু খেলে শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় থাকে ফলে ব্লাড প্রেশার ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করে।
- লিচু বার্ধক্যের লক্ষণ এবং ব্লেমিশ বন্ধ করতে কাজ করে।
- লিচুতে থাকা ডায়েটারি ফাইবার ওজন কমাতে সাহায্য করে। লিচুতে আছে প্রচুর পানি এবং এতে প্রায় ফ্যাট নেই বললেই চলে। এছাড়া এতে খুব কম ক্যালোরি থাকায় এটা ওজন কমানোর জন্য একটি আদর্শ ফল।
- লিচুতে আছে প্রচুর ফ্ল্যাভানল, যা প্রদাহ কমায় এবং প্রদাহের ফলে টিসুর ক্ষত সারাতে ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
- লিচুতে অধিক মাত্রায় ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, এবং কপার। এসব মিনারেল হাড়কে সাহায্য করে ক্যালসিয়াম শুষে নিতে, যার ফলে হাড় শক্ত এবং সুস্থ থাকে।