থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে না রাখলে ওজন বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এই রোগ থাকলে জীবনযাপন নিয়মে বেঁধে দেন চিকিৎসকেরা। তাই খাওয়াদাওয়ায় পরিমিতবোধ আনতে হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বেশ কয়েকটি পানীয় রয়েছে যেগুলো নিয়ম করে খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে থাইরয়েড। চলুন জেনে নিই—
আপেল সাইডার ভিনিগার
শুধু ওজন কমাতেই নয়, থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপেল সাইডার ভিনিগার কিন্তু উপকারী। থাইরয়েডের মাত্রা কমাতে আপেল সাইডার ভিনিগার যে কার্যকরী, তা অনেকেই জানেন না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আপেল সাইডার ভিনিগার থাইরয়েডের ক্ষেত্রে ওষুধের মতো কাজ করে। এক চামচ ভিনিগার এক গ্লাস জলে মিশিয়ে খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
ঘোল
প্রোবায়োটিক উপাদানের অন্যতম সমৃদ্ধ উৎস ঘোল। অন্ত্র ভালো রাখতে ঘোলের ভূমিকা অনবদ্য। সেই সঙ্গে থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণেও উপকারী ভূমিকা পালন করে এই পানীয়। পেটের অবস্থা ভালো থাকলে হাইপোথাইরয়েডিজমের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসে। চাইলে বাড়িতেই ঘোল বানিয়ে নিতে পারেন।
বাদাম দুধ
কাঠবাদাম কিংবা কাজুবাদামের দুধ বেশ স্বাস্থ্যকর পানীয়। চিকিৎসকদের মতে, এই পানীয় থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। থাইরয়েডের মাত্রা কমাতে বাদামের দুধ বেশ কার্যকর। চাইলে চা কিংবা কফিতেও ব্যবহার করতে পারেন এই দুধ। এ ছাড়া বাদাম দুধ দিয়ে বানাতে পারেন স্মুদিও।
ভেষজ চা
অশ্বগন্ধা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। বিশেষ করে থাইরয়েড রোগীদের ক্ষেত্রে অশ্বগন্ধা ওষুধের মতো কাজ করে। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মতো উপাদান। তাই অশ্বগন্ধা দিয়েও বানিয়ে নিতে পারেন চা। সকালে খালি পেটে খেলে উপকার পাবেন।
বিটের রস
বিট এমনিতে খুবই উপকারী একটি সবজি। থাইরয়েড থেকে কোলেস্টেরল মোকাবেলা করতে বিটের অবদান অনেক। বিট হলো ফাইটোনিউট্রিয়েন্টের সমৃদ্ধ উৎস। এই উপাদান থাইরয়েডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।