আমাদের শরীরে যেসব খনিজ উপাদান বিভিন্নভাবে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে, সেগুলো প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। যদি কোনো কারণে সেই খনিজ উপাদানগুলো বেড়ে যায়, তখন এগুলো কিডনি, মূত্রথলিতে জমা হয়ে ছোট ছোট পাথরে পরিণত হয়। সেসব পাথর যদি ৪ মিলিমিটারের বড় হয় তখন প্রস্রাব বের হয়ে আসতে বাধা দেয়। তখনই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জটিলতা বেড়ে যায়।
কিডনিতে পাথর হওয়ার সমস্যা নতুন কিছু না। নারীদের তুলনায় পুরুষদের এই স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বেশি থাকে। নানা কারণেই কিডনিতে পাথর হতে পারে। যেমন-
- অপর্যাপ্ত পানি পানে প্রস্রাবে খনিজের পরিমাণ বা ঘনত্ব বেড়ে যায়। বাড়তে বাড়তে একসময় বেশি হয়ে পাথরে পরিণত হয়। এর মধ্যে কিছু কিছু পাথর কিডনিতে জমে সমস্যার সৃষ্টি করে।
- ক্যালসিয়াম থেকে পাথর হয়। কোনো কারণে শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে কিডনিতে পাথর হতে পারে।
- অক্সালেট–সমৃদ্ধ খাবার যেমন- বাদাম, চকলেট, পালংশাক, বিট ও চা–কফি এগুলো বেশি পরিমাণে খেলেও পাথর হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
- পাথর হওয়ার আরেকটি কারণ ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়া। যারা প্রাণিজ আমিষ বেশি খায় তাদের ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে পাথর তৈরি হয়।
- বংশগত কারণেও কিডনিতে পাথর হতে পারে।
- যাদের অস্বাভাবিক ওজন বেড়ে যায় তাদের ক্ষেত্রেও পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।