সারাদিন রোজা রেখে ইফতারে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্যবিদরা। পুষ্টিকর খাবার বলতেই প্রথমেই থাকে ফল। বিভিন্ন ধরণের ফল বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর থাকে। তাই শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণে ফল ইফতারে রাখা হয়। কিন্তু খালি পেটে ফল খাওয়া কিংবা সন্ধ্যায় ফল খাওয়া কী উপকারী? এটা কী স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়? এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই থাকে।
পুষ্টিবিদরা জানান, রমজানে সারাদিন রোজা রাখার পর শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে। শরীরে শক্তি কমে যায়। তাই দ্রুত শক্তি পুনরুদ্ধারের জন্য ফল সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার। ফল প্রাকৃতিকভাবে পুষ্টি জোগায়, এটি হালকা এবং সহজে হজমযোগ্য হয়। তাই শরীরে দ্রুত শক্তি পায়। তাই ইফতারে বিভিন্ন পদের ফল রাখা অত্যন্ত জরুরি। ফল খেলে শরীর যেসব উপকার পায়_
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ফল খেলে শরীরের ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ হয়। এছাড়াও ফল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানে ভরপুর থাকে। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। তাই রোজায় সুস্থ থাকতে ফল খাওয়া জরুরি।
ডিহাইড্রেশন কমায়
গরমের দিনে রোজা রাখলে শরীর ডিহাইড্রেশন হয়। এক্ষেত্রে তরমুজ, বেল, ডাবের পানি ইত্যাদি ফল শরীরে পানির চাহিদা মেটায়। এতে শরীরও ঠান্ডা থাকে। এছাড়াও কমলা, পেপে, শসা, আঙুর, স্ট্রবেরির মতো ফলে পানির পরিমাণ বেশি থাকে। যা শরীরে আর্দ্রতা ধরে রাখে।
শক্তি পুনরুদ্ধার
ফলে প্রাকৃতিক চিনি থাকে। যা খেলে শরীর দ্রুত শক্তি পায়। রোজা রেখে সারাদিন কিছু খাওয়া হয় না। এক্ষেত্রে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যায়। ফল খেলে গ্লুকোজের মাত্রা দ্রুত পূরণ হয়।
হজমে সহায়ক
ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তাই অন্যান্য খাবার হজমের জন্যও ইফতারে ফল থাকা জরুরি।
কীভাবে খাবেন
ফল কেটে সঙ্গে সঙ্গে খেতে হবে। ফল কেটে বেশি সময় পর্যন্ত রেখে দিলে এর পুষ্টিগুণ কমে যায়। ফল সরাসরি খেতে পারেন। অনেকে জুস করে খেতে পছন্দ করেন। তবে জুস করে খাওয়ার চেয়ে ফল কেটে খেলেই উপকার পাওয়া যায়। ফল কেটে সালাদ বানিয়ে খেতে পারেন। আবার ফলের সঙ্গে চিয়া সিড মিশিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যাবে।