• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভুলে যাওয়া ছাড়াও স্মৃতিনাশের লক্ষণে যা হয়


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২৪, ০৯:০০ পিএম
ভুলে যাওয়া ছাড়াও স্মৃতিনাশের লক্ষণে যা হয়
ছবি: সংগৃহীত

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিনাশের লক্ষণ দেখা দেয়। কিছু মুহূর্ত পর পরই ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এর বাইরেও থাকে মনের অনেক অসুখ। ভুলে যাওয়া সাধারণ লক্ষণ হলেও কারো কারো ক্ষেত্রে ভিন্ন লক্ষণেও দেখা দেয় ডিমেনশিয়া। ব্যবহারে হঠাৎ বদল, প্রচণ্ড আগ্রাসী মনোভাবও হতে পারে এর লক্ষণ। এছাড়াও থাকে বিভিন্ন উপসর্গ। যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে রোগী।

বিশেষজ্ঞরা জানান, ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিনাশের ক্ষেত্রে ভুলে যাওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার আগে ছোট ছোট আরও কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। কোনও লেখা বুঝতে এবং লিখতে না পারা, অক্ষর, শব্দ, বাক্য তৈরিতে সমস্যা হওয়া, কিছু লিখতে বা বলতে গেলে গুলিয়ে ফেলা, মনের কথা প্রকাশ করতে না পারাসহ কিছু লক্ষণ বা উপসর্গ থাকে রোগীর মধ্যে।

বিশেষজ্ঞরা ডিমেনশিয়ার রোগীর আচার-ব্যবহারে অনেক বদল আসে বলেও জানিয়েছেন। অন্যের সঙ্গে সঠিক ব্যবহার না করা, প্রচণ্ড রাগ, জেদ হওয়া, অল্পতে মেজাজ দেখানোসহ আরও লক্ষণ প্রতিফলিত হয়। এছাড়াও ডিমেনশিয়া রোগীরা অকারণে সন্দেহ করে, আপনজনকে শত্রু ভাবতে থাকে।

মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানান, ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত রোগীর মধ্যে প্রচণ্ড যৌন উত্তেজনা লক্ষ করা যায়। ব্যবহার ও আচরণে বদল আসে। পরিচিত মানুষজনের সামনেই অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে থাকে। পোশাক ঠিকমতো না পরা, কথাবার্তায় অসংলগ্নতাও ডিমেনশিয়ার লক্ষণ।

বিশেষজ্ঞরা জানান, স্মৃতিনাশের দু’টি পর্যায় রয়েছে। একটি হচ্ছে  অ্যালঝাইমার্স। যা রোগীকে সব কিছু ভুলিয়ে দেয়। দ্বিতীয়টি হল ‘ভাসকুলার ডিমেনশিয়া’। এতে রোগীর আচার-আচরণে বদল আসে।  নিজে থেকে কিছু ভাবতে বা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। অতিরিক্ত উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা হতে থাকে। রোগী কাল্পনিক কিছু দেখতে বা শুনতে শুরু করে। যা ডিমেনশিয়ার পূর্বলক্ষণ।

সাম্প্রতিক সময়ে ‘ইনফরমেশন ওভারলোড’-এর সমস্যাকে দায়ী করেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, মানুষের এখন প্রচণ্ড মানসিক চাপ হয়। মানুষ একই সময়ে একাধিক কাজ করেন। যা মস্তিষ্কের ক্ষতি করে। একটা সময় মস্তিষ্ক একটি কাজ করতেই সক্ষম হয়। সাধারণত স্নায়ুর মধ্যে দিয়ে বার্তা পৌঁছয় মস্তিষ্কে। চোখ আর কানকে ভিন্ন ভিন্ন কাজে ব্যস্ত রাখলে কোন বার্তা আগে মস্তিষ্কে পৌঁছবে, তা ঠিক করতে হিমশিম খায় স্নায়ুতন্ত্র। এতে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কাজ করার ক্ষমতা কমে যায়। প্রয়োজনী ও অপ্রয়োজনীয় তথ্যের মধ্যে থেকে ভেদাভেদ করতে পারে না মস্তিষ্ক। তখনই ভুলতে শুরু করে মানুষ। এক পর্যায়ে স্মৃতিনাশ হয়ে যায়।


সূত্র: হেলথকেয়ার

Link copied!