বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে নানা রোগ ধরা দেয়। ডায়াবেটিস, হাই প্রেসারের মতো ইউরিক অ্যাসিড বাড়লেও শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। এটি শরীরের হাড়ের উপর প্রভাব ফেলে। সঙ্গে ক্ষতি করে কিডনিরও। পায়ে ব্যথায় চলাফেরা করতেও কষ্ট হয়।
বিশেষজ্ঞরা জানান, উচ্চ মাত্রায় ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় ‘হাইপারইউরিসেমিয়া’ বলা হয়। রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি, ওজন বেশি, থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। আবার মদ্যপানের অভ্যাসও ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। যা হাড় ও কিডনির উপর প্রভাব ফেলে।
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে বদলাতে হবে লাইফস্টাইল আর খাদ্যাভাস। বিশেষজ্ঞরা জানান, নিয়ম করে স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেই এটি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। অতিরিক্ত খাওয়া-দাওয়ায় রাশ টানলে সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে। তাই ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার লক্ষণ দেখা দিলেই বিশেষজ্ঞের পরামর্শে ব্যবস্থা নিতে হবে।
একজন ব্যক্তি কীভাবে বুঝবেন তার শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেড়েছে? প্রতিটি রোগের কারণেই শরীরে কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির উপসর্গও শরীরে দেখা যাবে। যা সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা থাকে না। তাই আগে জেনে নিন, ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির উপসর্গগুলো কী কী_
· শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে বার বার প্রস্রাব পাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। প্রস্রাবে দুর্গন্ধ হয়।
· ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে প্রস্রাবে জ্বালাভাব থাকবে। চরমভাবে জ্বালাভাব হতে পারে। যার কারণে প্রস্রাব করতেও ভয় পান অনেকে। এর ফলে কিডনিতে পাথরও হয়।
· শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাতও হতে পারে।
· শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথা থাকবে। পায়ে ব্যথা হওয়া লক্ষণ সবার আগেই দেখা যাবে। সেই সঙ্গে পিঠের নীচের দিকে, তলপেটে কিংবা কুঁচকিতেও ব্যথা হতে পারে।
· শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে ইউটিআই বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন হতে পারে।