নানা ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে শীতের এই দূষিত শুষ্ক আবহাওয়ায়। বিশেষ করে শ্বাস প্রশ্বাস জনিত সমস্যা বেশি দেখা দেয়। বড়দের পাশাপাশি ছোটদেরও হতে পারে হাঁপানি। তাই শিশুর হাঁপানির সমস্যা থাকলে শীতে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।
হাঁপানি যেহেতু একটি দীর্ঘমেয়াদি অ্যালার্জিজনিত সমস্যা। তাই অ্যালার্জি বাড়তে পারে এমন কিছু করা যাবে না। সে ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চললে শীতে হাঁপানি থেকে রক্ষা করা সম্ভব।
- ঠান্ডা বাতাসে অ্যালার্জি প্রবণতা বাড়ে। তাই শিশুকে নিয়ে বাইরে বের হলে নাক ও মুখ ঢেকে রাখার চেষ্টা করতে হবে। কারণ নাক ও মুখের মাধ্যমে ঠান্ডা বাতাস শরীরে প্রবেশ করে।
- শিশু বাইরের শুষ্ক ও ঠান্ডা আবহাওয়ায় বেশিক্ষণ যেন খেলাধুলা না করে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যদি শীত খুব বেশি পড়ে তাহলে তাকে বাইরে বের না করাই ভালো। বেশি ঠান্ডার সংস্পর্শে এলে শিশুর ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
- শিশুকে কখনই আঁশযুক্ত খেলনা দেওয়া ঠিক না। বিশেষ করে শীতে আঁশযুক্ত খেলনায় ধুলাবালি আটকে থাকে অনেক। তাই আঁশযুক্ত খেলনা, কার্পেট, কুশন পরিহার করুন।
- ঘরে মশারি ব্যবহার করুন। কয়েল/স্প্রে ব্যবহার করবেন না। মশারির ব্যবহার বাড়ান।
- ঘরে যেন পর্যাপ্ত আলো বাতাস থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
- কম্বলের সূক্ষ্ম আঁশ শ্বাসনালিতে সমস্যা করতে পারে। আবার একইঙ্গে ধুলাও জমে থাকে। যা শ্বাসযন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। তাই শীতকালে কম্বল ব্যবহার না করে কভারসহ লেপ বা কমফোর্টার ব্যবহার করা যেতে পারে।
- হাঁচি বা কাশি দেওয়ার পর শিশুদের হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে। নয়ত জীবাণু লেগে নতুন করে আবার সংক্রমণ হবে।
- শিশুকে এক একটি খাবার একক ভাবে খাইয়ে পরীক্ষা করতে হবে তার কোনো খাবারে অ্যালার্জি আছে কি না। যদি কোন খাবারে অ্যালার্জি হয় তাহলে সেই খাবারটি তাকে দিবেন। যদি খাবারটি খুব পুষ্টিকরও হয় তারপরও দেবেন না।
- কৃত্রিম রংযুক্ত খাবার, বাইরের ভাজা খাবার দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।