অসাবধানতাবশত বিভিন্ন আঘাতে দাঁত ভেঙে যেতে পারে। এ ছাড়া ফেটে কিংবা দাঁতের রং কালো হয়েও যায়। ক্ষয় হয়ে দাঁত নষ্ট হয়ে যায়। দাঁতের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। তখন ওই ক্ষয়ে যাওয়া দাঁতের উপর আসল দাঁতের মতো দেখতে ‘ক্যাপ’ বসানো হয়। অনেকটা মাথার মুকুটের মতো। তবে এই পদ্ধতি বেশ জটিল এবং খরচসাপেক্ষ। দাঁতে শুধু ক্যাপ লাগালেই হবে না। ক্যাপ পরানোর পর যত্নেরও প্রয়োজন পড়ে। অনেক সময় ক্যাপ লাগানোর পর নানা জটিলতা দেখা যায়। ক্যাপ ধাতব পদার্থ দিয়ে তৈরি। ফলে পাশের দাঁতে খাবার জমে থাকার আশঙ্কা বেশি থাকে। পরে দাঁত ও মাড়িতে রোগ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। তাই বিশেষ যত্নের প্রয়োজন।
- দুই দাঁতের মধ্যখানে ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করুন। দিনে অন্তত পক্ষে দু’বার দাঁত মাজতেই হবে। খাবার খাওয়ার পর ফ্লসিং করাও জরুরি। প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ করার সময় মাড়ি ম্যাসাজ করুন। এতে মাড়ি ভালো থাকবে, দাঁতের গোড়া মজবুত হবে
- দাঁতের চিকিৎসকেরা ব্রাশের দিকেও নজর দিতে বলেন। মাড়ি বা দাঁতের জন্য নরম ব্রিসল্স ব্যবহার করাই ভাল।
- দাঁতের মাজন কেনার সময়ে দেখে নিতে হবে, তার মধ্যে সোডিয়াম লওরেল সালফেট (এসএলএস) এবং সোডিয়াম লওরেথ সালফেট (এসএলইএস)-এর মতো উপাদান যেন না থাকে ।
- যাদের দাঁতে ক্যাপ পড়ানো হয় তারা শক্ত হাড় চিবোনো, খোসা-সহ আখরোট, বাদাম ভাঙা এমন কোন কিছুই ক্যাপ পড়ানো দাঁত দিয়ে করা যাবে না। বেশি জোরে চাপ দিলে এই ধরনের দাঁত ভেঙে যেতে পারে।
- প্রতিদিন একবার লবণ গরম পানি দিয়ে কুলি করুন। এতে খাবারের অবশিষ্ট কণা বের হওয়াসহ দাঁত ও মাড়ির নানাবিধ সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাবেন।
- দাঁতে যেন কোনও ভাবে আঘাত না লাগে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। খেলাধুলো করতে গিয়ে অসাবধানে মুখ থুবড়ে পড়ে গেলেও দাঁত নষ্ট হবে। কখনো অসতর্কতায় ক্যাপ খুলে গেলে আতঙ্কিত না হয়ে দন্ত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।