• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১, ১৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

শরীরে আমিষের ঘাটতি কীভাবে বুঝবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২৪, ০৭:৩৩ পিএম
শরীরে আমিষের ঘাটতি কীভাবে বুঝবেন
ছবি: সংগৃহীত

আমিষ শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদান। শরীরের গাঠনিক উপাদানগুলোর একটি হচ্ছে আমিষ। যা জ্বালানির উৎস হিসেবেও ভূমিকা রাখে। এটি শর্করার সমপরিমাণ শক্তি ঘনত্ব প্রদান করে।  প্রতি গ্রামে ৪ কিলোক্যালরি বা ১৭ কিলোজুল। এর বিপরীতে স্নেহপদার্থ বা চর্বি প্রতি গ্রামে ৯ কিলোক্যালরি বা ৩৭ কিলোজুল শক্তি দেয়।

পুষ্টিবিদদের মতে, মানুষের শরীরের আভ্যন্তরিণভাবে কাজ করতে ২০ ধরনের অ্যামিনো এসিডের প্রয়োজন হয়। যা শরীরে নিজেই উৎপাদিত হতে পারে না। মাত্র ৯টি অ্যামিনো এসিড নিজে থেকে উৎপাদিত হয়। বাকিগুলোর চাহিদা পূরণে খাবারের তালিকায় যুক্ত করতে হয়। নয়তো শরীরে নানা সমস্যা হতে পারে। শরীরে আমিষ বা প্রোটিনের ঘাটতি রয়েছে কিনা তা কিছু লক্ষণে বোঝা যায়। যেমন_

ঘন ঘন অসুস্থ হওয়া

প্রোটিনের অভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। যার ফলে ঘন ঘন অসুস্থ হয়। শরীরে রোগ প্রতিরোধক কোষ ও অ্যান্টিবডি তৈরিতে সাহায্য করে ইমিউন সিস্টেম। প্রোটিনের অভাবে সেই কাজ ব্যাহত হয়। শরীরের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়ে।

পা-গোড়ালি ফুলে যাওয়া

শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিন না থাকলে পা ও গোড়ালিতে ফোলা ভাব দেখা যায়। প্রোটিনের অভাব কোষগুলোতে তরলের ভারসাম্যকে প্রভাবিত করে। অ্যালবুমিনের মতো প্রোটিনগুলো রক্তনালী ও শরীরের কোষগুলোর মধ্যে তরলের ভারসাম্য ঠিক রাখে। পর্যাপ্ত প্রোটিন ছাড়া এই ভারসাম্য ব্যাহত হয়। যার কারণে ভুল স্থানে তরল জমা হতে পারে।

মিষ্টির প্রতি আসক্তি

শরীরে প্রোটিনের অভাব হলে মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি আসক্তি বাড়ে। প্রোটিন কার্বোহাইড্রেটের হজম ও শোষণকে ধীরগতির করে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে। পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করলে রক্ত প্রবাহে চিনির শোষণকে মন্থর করে দেয়। তাই মিষ্টির প্রতি আসক্তি কাজ করে না। প্রোটিনের ঘাটতি হলে আসক্তি বেড়ে যায়।

বিভিন্ন অঙ্গে সমস্যা

চুল, নখ ও ত্বকের জন্য প্রোটিন বা আমিষ গুরুত্বপূর্ণ। অ্যামিনো এসিড সিস্টাইন ক্যারাটিন উৎপাদনে সহায়তা করে। যা চুল, ত্বক ও নখের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিনের অভাব হলে চুলের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। অতিরিক্ত চুল পড়ে। কোলাজেনের উৎপাদনও ব্যাহত হয়। যা ত্বকের ওপর প্রভাব ফেলে।

মুড সুইং বা মেজাজ পরিবর্তন

অ্যামিনো এসিড দিয়ে অনেক নিউরোট্রান্সমিটার তৈরি হয়। এর মাধ্যমে মস্তিষ্ক ও কোষগুলোর মধ্যে তথ্যের আদান-প্রদান হয়। প্রোটিন সেরোটোনিন ও ডোপামিনের মতো হ্যাপি হরমোনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ  অ্যামিনো এসিড সরবারহ করে। যা মেজাজকে স্থিতিশীল রাখে। শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দিলে হ্যাপি হরমোনে ব্যাঘাত ঘটে এবং মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।

Link copied!