কয়েক বছর ধরে বছরের এই সময়টা আসলেই ডেঙ্গুর প্রবণতা বেড়ে যায়। প্রতিদিনই হাসপাতালে ভর্তি হয় অনেক অনেক মানুষ। এর মধ্যে শিশুদের সংখ্যাটাও কম না। তাই ডেঙ্গু থেকে শিশুকে বাঁচাতে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলক ভাবে কম। যার কারণে শিশুদের ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে জটিলতা বেশি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আবার মৃত্যু হারও কম না। তাই জেনে নিন ডেঙ্গু থেকে শিশুকে রক্ষা করবেন যেভাবে-
- দিনে বা রাতে যে সময়েই শিশু ঘুমায়, ঘুমানোর সময় শিশুর বিছানায় মশারি ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে নবজাতককে প্রায় সার্বক্ষণিক মশারির ভেতরে রাখার চেষ্টা করুন।
- বাড়িতে কারও ডেঙ্গু হলে তাকে আলাদা ঘরে মশারির ভেতর রাখা দরকার। কারণ ডেঙ্গু আক্রান্ত কাউকে এডিস মশা কামড়ানোর পর অন্য কাউকে কামড়ালে তার শরীরেও ভাইরাস চলে যায়।
- যেসব শিশু স্কুলে যায় তাদের স্কুলে যাওয়ার সময় গা ঢাকা পোশাক পরাতে হবে। মোজা ও জুতাও পরাতে হবে। সাদা বা হালকা রঙের পোশাক পরালে ভালো। এমনকি শিশুরা খেলতে গেলেও গা ঢাকা পোশাক পরাতে হবে।
- বাজারে এখন অনেক ধরনের মশা প্রতিরোধক পাওয়া যায়। স্প্রে, লোশন, রোল অন, স্টিকার নানাভাবে এইগুলো ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এগুলো সাধারণত দুই থেকে পাঁচ ঘন্টা পর্যন্ত মশা থেকে শিশুকে সুরক্ষা দিতে পারে বলে ধারণা করা হয়। তবে ব্যবহারের আগে অবশ্যই জেনে নিন সেটি আপনার শিশুর বয়সের উপযোগী কিনা। কারণ মশা তাড়াতে এগুলোতে নানা ধরনের রাসায়নিক মেশানো হয়। সব রাসায়নিক সব বয়সের উপযোগী নাও হতে পারে।
- শিশু যদি বেশি ছোট হয় বা তাদের শরীরে ক্রিম বা স্প্রে ব্যবহার করা না যায়, তাহলে তাদের হাতে মসকুইটো রেপেলেন্ট বেল্ট বা পোশাকে প্যাচ ব্যবহার করা যেতে পারে।
- ভেষজ কোনো কোনো ধূপেও মশা যায়। সেসব প্রয়োগ করতেই পারেন বাড়িতে। মশা তাড়ানোর জন্য কর্পূর জ্বালিয়ে রাখতে পারেন । ইউক্যালিপটাস, তুলসী, লেমনগ্রাস— এই সব গাছ কিনে বাড়িতে রাখতে পারেন। এদের গন্ধে মশা দূরে থাকে।
- তবে এর আগে এডিস মশার জন্ম ঠেকাতে হবে। সচেতনতা বাড়াতে হবে। কোথাও যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- এ ছাড়া পরিত্যাক্ত টায়ার, ডাব বা নারকেলের খোলা, বাড়ির আশপাশে থাকা পরিত্যক্ত জিনিস, যেসবে পানি জমে এডিস মশা জন্মাতে পারে, সেগুলো কমপক্ষে তিন দিন পরপর পরিষ্কার করার চেষ্টা করতে হবে।