টানা তাপদাহের পর সারাদিন ধরে বৃষ্টি ঝড়ছে। পেশাগত কারণে বাইরে বেরিয়ে বৃষ্টিতে ভিজতেও হচ্ছে অনেককে। ফলে জ্বর, কাশির মতো সমস্যা লেগেই থাকতে পারে আপনার সাথে। কাশি একটি বিরক্তকর ও বিব্রতকর অসুখ। একবার কাশি শুরু হলে যেন থামতেই চায় না। তাই এসময় থাকতে হবে সাবধান। তবে সবসময় সাবধান থাকাও যায় না সবসময়। তাপমাত্রার আচমকা বদলের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পেরে জ্বর-সর্দি-কাশিতে ভোগেন অনেকে। জ্বর, সর্দি-কাশি কমাতে অনেকেই শুরুতে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া শুরু করেন। যা একদমই উচিত না। বরং জ্বর কাশি কমাতে মেনে চলতে পারেন কিছু টোটকা।
- কাশি কমাতে প্রতিদিন ১ চামচ মধু খান। মধুতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান, যা সংক্রমণ কমায়।
- ঘন ঘন কাশি হলে লবঙ্গ মুখে রাখতে পারেন। এতে তখনকার মতো কাশি কমে যাবে।
- এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ২ টেবিল চামচ মধু, অর্ধেকটা লেবুর রস আর সামান্য আদার রসের মিশ্রণ প্রতিদিন এক–দুবার খেতে হবে। এ মিশ্রণ কফ ও গলাব্যথা উপশমে সহায়তা করে।
- বাসক পাতা পানিতে সেদ্ধ করে, সেই পানি ছেঁকে নিয়ে কুসুম গরম অবস্থায় খেলে কাশি উপশম হয়। প্রতিদিন সকালে এ পানি খেতে হবে। এ ছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যায় বাসক পাতার রস খেলেও উপকার পাওয়া যাবে।
- ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে উষ্ণ গরম পানিতে গোসল করুন।
- যাদের বৃষ্টি হলেই ঠান্ডা-জ্বরের ধাত আছে তারা এসময় রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে ঠান্ডা লাগা এবং সর্দি-কাশির থেকে রেহাই মিলবে। হলুদে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা অনেক রকমের স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা থেকে রেহাই দেয়।
- সাধারণ সর্দি এবং কাশির জন্য আর একটি কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার হল লেবু, দারচিনি এবং মধুর মিশ্রণ। এই সিরাপ নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করুন।
- তুলসী পাতা থেঁতো করে এতে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে প্রতিদিন দু–তিনবার খেলে কাশি ভালো হয়।
- বৃষ্টির দিনে চা তৈরির সময়ে তার সঙ্গে আদা, গোলমরিচ, দারুচিনি দিতে পারেন, এটাও গরম গরম খেলে আরাম লাগবে।