মানুষের হাড়, দাঁত ও মাংসপেশির স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ডি। আমাদের শরীরে ভিটামিন ডির বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ রয়েছে। এটি চর্বিতে দ্রবণীয় একটি ভিটামিন, যার মধ্যে আছে ভিটামিন ডি১, ডি২ ও ডি৩। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষণ করা এবং শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে ভিটামিন ডি প্রয়োজন বলে শেষ করা যাবে না। শিশুদের শরীরের এই ভিটামিনের ঘাটতি হলে রিকেটস রোগ হয়। হাড় বেকে যায়। এছাড়াও আরও কিছু সমস্যায় পড়তে হয় ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে।
যেমন-
ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হওয়া মানে হাড় ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়া। এমনকি শরীরের মাংসপেশীর দুর্বলতা বেড়ে যায়। বিশেষ করে মাংসপেশী বেড়ে যাওয়া ও মাংসপেশী কাঁপার মতো সমস্যাগুলো হয়ে থাকে৷
- শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যায় ফলে বার বার অসুস্থ হয়ে পড়ে
- বিষণ্ণতা বেড়ে যায় ও সারাক্ষণ মানসিক চাপ অনুভূত হয়৷
- চুল পড়ে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাওয়া
- সহজেই দাঁত ও হাড় ভেঙে যেতে পারে
- অল্পতেই শরীর ক্লান্ত লাগে বেশি এবং অবসাদগ্রস্ত লাগে।
ভিটামিন ডির ঘাটতি হলে তাই যথাসম্ভব ঘাটতি পূরণ করা দরকার। আর ভিটামিন ডির মূল প্রাকৃতিক উৎস হলো সূর্যের আলো। তাই সকাল থেকে দুপুর ৩ টার মধ্যে রোদে হাটাহাটি করলে ডির ঘাটতি অনেকটা দূর হবে।
আরও যেভাবে ভিটামিন ডির ঘাটতি দূর করবেন-
সামুদ্রিক মাছ খান
সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামি ডি থাকে। তাই রোজের খাদ্যতালিকায় টুনা, স্যালমন, সার্ডিনের মতো মাছ অবশ্যই রাখবেন।
দুধ
দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে। তাই শরীরের ভিটামিন ডি-এর যোগান বৃদ্ধি করার জন্য দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া জরুরি।
ডিম
ডিমের কুসুমেই ভিটামিন ডি থাকে। ডিম হল কোলিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিগুলোর একটি চমৎকার উৎস এবং এতে আপনার প্রয়োজনীয় সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ অ্যামিনো অ্যাসিডও রয়েছে।
কড মাছের যকৃতের তেল
ভিটামিন ডি এর একটি ভালো উৎস কড মাছের যকৃতের তেল। এটি সেবনের মাধ্যমে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করা যায়। পরিপূরক হিসাবে এটি গ্রহণ করলে এই ভিটামিনের ঘাটতি হবে না।
মাশরুম
মাশরুম প্রচুর ভিটামিন ডি থাকে। সাদা বাটন মাশরুম, ওয়াইল্ড এডিবল ও চ্যান্ট্রেল মাশরুম ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ। সূর্যরশ্মির পরে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ডি থাকে মাশরুম ও কড লিভার তেলে।
পনির
ভিটামিন ডির ভালো উৎস এটি। সাধারণ অথচ মজাদার এই খাবার খেয়ে ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণ করতে পারেন। অন্যান্য পনিরের চেয়ে রিকোটা পনিরে বেশি ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।