মানুষের শরীরে ভিটামিন ডি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। শিশুদের ক্ষেত্রে এ প্রয়োজনীয়তা আরও অনেক বেশি। কারণ শিশুদের রক্তে ক্যালসিয়াম, ফসফেটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে হাড়গুলো সবল ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি। পাশাপাশি এই ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন থেকে বলা হয় যে, বাচ্চার জন্মের পর তাকে যেন ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট হিসেবে দেওয়া হয়। এছাড়াও কোন কোন খাবার থেকে শিশু ভিটামিন ডি পাবে সেগুলো জানতে হবে। এ বিষয়ে জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটালের কনসালটেন্ট ডায়টেশিয়ান আয়শা সিদ্দিকা তার ফেইসবুকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
- শিশুকে জন্মের পর থেকেই সকলে একটা নির্দিষ্ট সময়ে রোদে রাখতে হবে। রোদ ভিটামিন ডি-র ভালো উৎস। শিশুকে সকালে রোদে রাখলে শিশু ভিটামিন ডি পাবে।
- ডিমের কুসুম থেকে শিশুর ভিটামিন ডি পেপে পারে। তাই শিশুদের ৬ মাস পর ধীরে ধীরে ডিমের কুসুমের সঙ্গে অভ্যস্ত করুন।
- যে বাচ্চা ফরমুলা দুধ খেয়ে থাকে সেখানেও ভিটামিন ডি দেওয়া থাকে।
- ফলের মধ্যে কমলায় ভিটামিন ডি থাকে। তাই শিশুর ভিটামিন ডি-র ঘাটতি দূর করতে কমলা দিতে পারেন। তবে সেটা অবশ্যই শিশুর বয়স ৬ মাস হওয়ার পর।
- বাদামেও ভিটামিন ডি থাকে। তবে সে ক্ষেত্রে শিশুর বয়স মাথায় রাখতে হবে।
- শিশুর খাদ্যতালিকায় ইলিশ মাছও রাখতে পারেন। ইলিশ মাছ ভিটামিন ডি-র ভালো উৎস।