প্রতিমাসেই ঋতুস্রাবের ব্যথায় কয়েকটা দিন খুবই অস্বস্তিতে কাটে নারীর । কারও অতিরিক্ত রক্তপাত, কারও আবার পেটে অসহ্য যন্ত্রণা। সঙ্গে থাকে দুর্বলতাও। এ সময় ঠান্ডার কারণে তলপেটের যন্ত্রণা বেড়ে যায়।
চিকিৎসকেরা বলছেন, ঠান্ডায় রক্তবাহিকা, ধমনী সঙ্কুচিত হয়ে যায়। রক্ত চলাচলে সমস্যা হলে এই সব ব্যথা হতে পারে। এ ছাড়া রক্তে ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে, শরীরচর্চা না করলে ব্যথার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
আবার, শীতকালে অনেকেরই পানি খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। শরীরে পর্যাপ্ত পানির অভাবেও ঋতুস্রাব চলাকালীন ব্যথা হতে পারে। ঋতুস্রাবের ব্যথা নিয়ন্ত্রেণের কয়েকটি উপায় জেনে নিন-
শরীর উষ্ণ রাখতে হবে
ঋতুস্রাবের কষ্ট থেকে আরাম পেতে শরীরকে উষ্ণ রাখতে হবে। প্রয়োজনে পায়ে মোজাও পরতে পারেন। ধমনী সঙ্কুচিত হওয়ার সমস্যা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এই টোটকা।
পর্যাপ্ত পানি পান
শীতকালে পানির পিপাসা কম লাগে তাই খাওয়াও কম হয়ে যায়।কিন্তু ঋতুস্রাব চলাকালীন যদি পানির অভাব হয় শরীরে, সে ক্ষেত্রে শরীর থেকে সহজে টক্সিন দূর করা যাবে না। হরমোনের মাত্রাতেও হেরফের ঘটে যেতে পারে। তাই এই সময়ে পর্যাপ্ত পানীয় খাওয়া জরুরি।
হালকা শরীরচর্চা করতে হবে
ঋতুস্রাব চলাকালীন ব্যায়াম করতে কষ্ট হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা বলেন, এই সময় হালকা শরীরচর্চা করলে পেটের পেশি শিথিল হয়। ফলে ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হয়।
গরম পানিতে গোসল
ঋতুস্রাব চলাকালীন শারীরিক আড়ষ্টতা কাটাতে অনেকেই কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করেন। এটি ভালো একটি কাজ। এতে পুরো শরীরের তো বটেই, পেটের পেশি শিথিল রাখতেও সাহায্য করে।
বিশ্রাম নিতে হবে
অনেকের পেটে ব্যথা থাকে। এ অবস্থায় যেকোনো ভারী কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এই সময় জড়ায়ু বেশ নাজুক থাকে তাই তলপেটে চাপ পড়ে এমন কোনো কাজ করা যাবে না।
পুষ্টিকর খাবার
এই সময়ে বিভিন্ন ভিটামিন, প্রোটিন এবং খনিজে ভরপুর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। পাশাপাশি, যে সমস্ত খাবার খেলে পেটের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে, সেই সব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।