কোরবানির ঈদ সমাগত। ঈদ মানেই আনন্দ, ফুর্তি আর খাওয়া-দাওয়া। আর কোরবানির ঈদ মানেই মাংস খাওয়ার ধুম।
গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়ার মতো স্তন্যপায়ী প্রাণীর মাংসকে রেডমিট বলা হয়। রেড মিটে উচ্চ মানের প্রোটিনসহ পর্যাপ্ত আয়রন, ক্রিয়েটিন, জিংক ও ফসফরাসের মতো উপকারী খনিজ পদার্থ থাকে। এ ছাড়া নিয়াসিন, ভিটামিন বি–১২, থায়ামিন ও রিবোফ্লাভিনের অন্যতম উৎস রেড মিট। সব ধরনের প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিডের জোগান রেড মিট থেকে পাওয়া যায়; যা আমাদের শরীর গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। রেড মিট ভিটামিন ‘ডি’র খুব ভালো উৎস; যা হাড়ের গঠন মজবুত করে। প্রতি ১০০ গ্রাম গরুর মাংসে রয়েছে ২৬ গ্রাম প্রোটিন।
আর ঈদে অনেকটা অনিয়ন্ত্রিত ভাবে খাওয়া হয়ে যায় রেডমিট। রেডমিট শরীরের জন্য উপকারী হলেও পরিমাণের বেশি খেয়ে নিলেই সমস্যা। ঈদ বা অন্য যেকোনও সময়ই হোক না কেন সবাইকে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেতে হবে। সুস্থ মানুষের সুষম খাবার খেতে হবে। পরিমিত খাবার খেতে হবে।
কী পরিমাণ খাওয়া উচিত
দৈনিক গরুর মাংস খাওয়ার নিরাপদ মাত্রা হল, ৩ আউন্স বা ৮৫ গ্রাম এবং মাংস চর্বিমুক্ত হলে ১০০ গ্রামও খেতে পারবেন। গরুর শরীরের ২টি অংশ আছে যাতে পাবেন চর্বি ছাড়া মাংস। এই ২টি অংশ হল round এবং loin/sirloin অঞ্চল, এই অংশগুলোতে অভ্যন্তরীণ চর্বির পরিমাণ সর্বনিম্ন ৪.২ গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ ৮.২ গ্রাম যেখানে মুরগির থানের মাংসে অভ্যন্তরীণ চর্বির পরিমাণ ৯.২ গ্রাম।
কম চর্বিযুক্ত রেডমিড শিশু, কিশোর, তরুণ ও গর্ভবতী নারীর জন্য পুষ্টিকর খাবার। তবে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রেডমিট রাখা যাবে না। সপ্তাহে একদিন বা দুদিনের বেশি রেডমিট খাওয়া যাবে
মাঝ বয়স থেকে বেশি বয়সীদের সর্তক বেশি থাকতে হবে। বয়স্করা তো সচেতন থাকবেনই। তাই যতটা সম্ভব কম খাওয়াই ভালো।