প্রয়োজনের অতিরিক্ত লবণ না খাওয়ার বিষয়ে এখন আমরা কমবেশি সবাই জানি। কিন্তু অনেকের আবার এটা জানা নেই যে নিয়মিত কতটুকু লবণ খাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন লবণ খাওয়া যাবে তবে পরিমাণমতো।
ভারতের প্রখ্যাত পুষ্টিবিদ সুবর্ণা রায় চৌধুরী জানান, লবণ শরীরে পানির পরিমাণ বাড়ায়। এছাড়া শরীরে পানির ভারসাম্য ঠিক থাকে। তার মানে এই নয় যে, ওজন বেড়ে যাবে।
তিনি বলেন, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় যারা ভোগেন তাদেরও নির্দিষ্ট পরিমাণে লবণ রাখতে হবে খাদ্য তালিকায়।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের এক চা চামচ লবণ খাওয়া উচিত। ৫ থেকে ৬ গ্রাম লবণ খাদ্যতালিকায় রাখাই যায়। তবে কাঁচা লবণ না খেয়ে রান্নায় লবণ দিয়ে খাওয়াই ভালো।
এছাড়া লবণ ভেজেও খেতে পারেন। উচ্চ রক্তচাপ বা কিডনির সমস্যায় দীর্ঘদিন ভুগলে কাঁচা লবণ খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে।
লবণের অভাবে দেহে যে সমস্যা হয়
লবণ শতকরা ৯৭-৯৯ ভাগই হলো সোডিয়াম ক্লোরাইড। ফলে লবণ খাওয়া বন্ধ করলে প্রথমেই সোডিয়ামের অভাব হবে। এর অভাবে নানা রকমের শারীরিক সমস্যা দেখা দেবে।
যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন
সাধারণ মাখন, চিজ, পাউরুটি ইত্যাদি খাবারে কিছুটা পরিমাণে লবণ থাকে। তাই এ জাতীয় খাবার প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় থাকলে অন্য খাবারে লবণের পরিমাণ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
যারা প্রতিদিন কায়িক শ্রম বা ব্যায়াম বেশি করেন তারা পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী খাবারে লবণের পরিমাণ ঠিক করবেন।
বাজারচলতি প্যাকেটজাত খাবার যেমন, চিপস, নাচোজ থেকে শুরু করে হ্যাম, সসেজ, সয় সস, টম্যাটো সসেও লবণ থাকে। তাই এসব খাবারের বিষয়েও সচেতন হবেন।
মাছ, মাংস বা ডিম থেকেও সোডিয়াম পাওয়া যায়। তবে প্রতিদিনের চাহিদা তাতে মেটে না। সেখানে লবণ অনেক সহজেই সেই ঘাটতি পূরণ করে।