• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

কীভাবে বুঝবেন পিত্তথলিতে পাথর জমেছে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৪, ১২:৫৯ পিএম
কীভাবে বুঝবেন পিত্তথলিতে পাথর জমেছে
দ্রুত ওজন হ্রাস পিত্তথলিতে পাথরের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। । ছবিঃ সংগৃহীত

পেটের উপরিভাগের ডান দিকে ছোট নাশপাতিসদৃশ একটি অঙ্গ পিত্তথলি। পিত্তথলি থেকে নিঃসৃত পিত্তরস খাবার হজমে সাহায্য করে। এই পিত্তথলিতে পাথর একটি বড় সমস্যা। বিভিন্ন বয়সের মানুষই এখন এই সমস্যায় ভুগছেন, তবে ৩০-৪০ বছর বয়সে ঝুঁকি বেশি থাকে।

পিত্তথলিতে সাধারণত দুই ধরনের পাথর হয়ে থাকে। যার মধ্যে কোলেস্টেরল–জাতীয় পাথরের আধিক্য বেশি। এছাড়াও পিগমেন্ট পিত্তথলি পাথর আরেকটি ধরণ। রক্তে কোলেস্টেরল বাড়লে বা বিলিরুবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে পিত্তরস ক্ষরণে বাধা পরে। তখন সেই পিত্তরস পিত্তথলিতে জমে পাথর তৈরি করে। পাথরের আকার ছোট ধূলিকণা থেকে টেনিস বলের মতোও হতে পারে। এই রোগের মূল উপসর্গ পেটে ব্যথা।  কিন্তু আরও কিছু উপসর্গ রয়েছে। সেগুলো হলো:

  • হঠাৎ করে পেটে তীব্র ব্যথা, যা কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। সঙ্গে হয় বমিও।
  • মাঝেমাঝেই কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে এবং সঙ্গে পেটে ব্যথা হয়।
  • পিত্তথলিতে পাথর জমার মূল লক্ষণ পেটের ডান দিক থেকে ব্যথা শুরু হয়ে ডান কাঁধ পর্যন্ত পৌঁছনো। এ রকম হলে অতি অবশ্যই  চিকিৎসকের কাছে যান।
  • চোখ ও চামড়া হলুদ বর্ণ ধারণ করলে বুঝতে হবে জন্ডিস হয়েছে। সাধারণত পিত্তনালির কোনো সমস্যা দেখা দিলেই জন্ডিস হয়ে থাকে।

কাদের পিত্তথলির পাথরের ঝুঁকি বেশি এবং কেন?

  • টানা অনেকটা সময় খালি পেটে থাকলে গল ব্লাডারে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
  • যাদের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বা যাদের মেদবাহুল্য রয়েছে। কারণ ওজন বেড়ে গেলে পিত্তথলির
  • উপর চাপ পড়ে। এতে অনেক সময় গল ব্লাডারে পাথর জমে।
  • বয়স ৪০ বা এর বেশি যাদের তাদের এই রোগের আশঙ্কা বেশি। তাই চল্লিশের আশপাশের সময় থেকে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
  • শাকসবজি কম খেলে ও চর্বিজাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খেলে।
  • ডায়াবিটিস থাকলেও সতর্ক হতে হবে। কারণ এই রোগে আক্রান্তদের গল ব্লাডারে পাথর জমার আশঙ্কা বেশি।
  • নারিদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি।
  • লিভার বা যকৃতের রোগ হলে ও বিশেষ ধরণের রক্ত রোগ হলেও ঝুঁকি বেশি থাকে।
  • দ্রুত ওজন হ্রাস পিত্তথলিতে পাথরের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। 
  • বংশে কারও এই রোগ থাকলেও সাবধান হওয়া ভাল। পারিবারিক ভাবেও এ রোগ এক জনের থেকে আর এক জনের শরীরে যায়।
Link copied!