চীন জুড়ে নতুন ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটেছে। যার নাম ‘হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস’ (এইচএমভিপি)। করোনার মতোই দেশটিতে ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে এই নতুন ভাইরাস। যদিও বিশ্বজুড়ে এর প্রভাব এখনও ছড়িয়ে পড়েনি। তবে এর সংক্রমণ দেখে আতঙ্কিত বিশ্ববাসী।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, ইতোমধ্যে চীনের হাসপাতালগুলোতে এই ভাইরাসে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কোভিড ১৯ এর মতোই এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তবে এটি ছোঁয়াচে কিনা তা নিয়ে এখনও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এই ভাইরাস কতটা বিপজ্জনক? তা নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য জানায়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি এখনও বিপজ্জনক আকার ধারণ করেনি। শীতকালের সাধারণ সংক্রমণের মতোই এটি এক ধরণের ভাইরাস। যা ঠাণ্ডাজনিত সমস্যার উপসর্গ হিসেবে দেখা দিচ্ছে। সঠিক চিকিত্সায় এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা সুস্থও হচ্ছেন।
এদিকে বিশেষজ্ঞদের এই তথ্যে ভরসা পাচ্ছেন না বিশ্ববাসী। কারণ করোনাকেও প্রথমদিকে সাধারণ ভাইরাস হিসেবেই বলা হয়েছিল। যা পরবর্তী সময়ে মহামারি আকার ধারণ করে।
নতুন বছরে এই নতুন ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কা কতটুকু-এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানান, বিশ্বজুড়ে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার খবর এখনও পাওয়া যায়নি। তবে এই ভাইরাস নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। এটি সর্দি-কাশি, জ্বরের মতোই সাধারণ ভাইরাস বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে প্রতি বছরই নতুন ভাইরাস আসে। এটিও তেমনই এক ভাইরাস। এর ক্ষতিকর প্রভাব এখনও দেখা যায়নি।
এই ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানান, সাধারণত ভাইরাসের আক্রমণেই ঠাণ্ডা-জ্বর হয়। এইচএমভিপি-এর উপসর্গের মধ্যে রয়েছে- সাধারণ ফ্লু-এর মতো লক্ষণ, শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ, জ্বর, সর্দি-কাশি, নাক বন্ধ, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিসের ঝুঁকি। এমন উপসর্গ থাকলে আগেই সচেতন হওয়া জরুরি। ঘরোয়া উপকরণেই সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। অসুস্থতা দীর্ঘস্থায়ী অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
শিশু ও বয়স্কদের সাবধান থাকার পরামর্শ দিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানান, চীনের পরিসংখ্যানের তথ্য অনুযায়ী, শিশু, বয়স্ক এবং যাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তারাই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। তাই বৃদ্ধ, শিশু এবং দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত রোগীদের বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। তাদের হালকা ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা হলেই চিকিত্সা নিতে হবে।
এছাড়াও এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে কিছু নিয়ম কঠোরভাবে পালন করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যেকোনও ভাইরাস থেকে বাঁচতেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা জরুরি। স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করা, বাইরে থেকে ফিরে হাতে সাবান দেওয়া, সর্দি-কাশিতে আক্রান্তের থেকে দূরে থাকা, বাইরে গেলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে হবে।