মাথাব্যথা এমন এক সমস্যা যা প্রায় সবার সঙ্গেই ঘটে। নানান কারণেই মাথাব্যথা হতে পারে। মাথাব্যথা অনুভব করলে অনেকেই অ্যাসপিরিন/প্যারাসিটামল সেবন করেন। কিন্তু ওষুধের উপর নির্ভর করা কোন কাজের কথা না। বরং মাথা ব্যথায় ঘরোয়া উপায় খুঁজে কেউ কেউ। মাথা ব্যথা নির্মূল করতে হলে আগে তার কারণ জেনে নিতে হবে। তাতে সহজেই উপায় বের করা সম্ভব। কারণ বের করে কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলেই দূর করা সম্ভব মাথা ব্যথা। চলুন জেনে নেই-
বিশ্রাম
অনেক সময় পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাব হলে মাথায় চাপ পড়ে ও সেখান থেকে মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়। তাই মাথা যন্ত্রণার শুরু হলে সেই মুহূর্ত কাজ থেকে বিশ্রাম নিন। সম্ভব হলে অন্ধকার ঘরে চোখ বুজে বসে থাকুন। আধ ঘণ্টা চোখ বুজে বিশ্রাম নিন। এই সময়টুকু মোবাইল বা টিভি দেখবেন না। তাতে যন্ত্রণা আরও বেড়ে যেতে পারে।
ঘুম
সুস্থ থাককে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘুমাতে হয়। অনেক সময় ঘুমের অভাবে মাথা ব্যথা হতে পারে। ঘুমের অভাব মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে আপনাকে ক্লান্ত এবং অস্থির করে তুলতে পারে। যে কারণে কাজ করার শক্তি এবং মনোযোগ কমে যায়। মাথাব্যথা উপশমের জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
পানি
গরমে পানির পরিমাণ কমে যায়। কিন্তু শরীরে পানির অভাব হলে নানান রকম সমস্যা দেখা দেয়। মাথা ব্যথাও হতে পারে শরীরে পানির অভাব হলে। তাই বেশি করে পানি খাওয়া প্রয়োজন। সারা দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি খাওয়া জরুরি। মাথা ব্যথা শুরু হলে পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। তাতে ব্যথা কমবে।
ক্যাফেইন
ক্যাফেইন কিছু ধরণের মাথাব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে। এটি শক্তি বাড়ায় এবং মাথাব্যথা বা মাইগ্রেন থেকে দ্রুত পরিত্রাণ দেয়। ক্যাফেইন মেজাজ উন্নত করতে পারে। এ ধরনের পানীয় বা খাবার খাওয়ার পরে মাথাব্যথা থেকে অনেকটাই আরাম পাবেন।
গরম পানিতে পা ডুবান
গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখলেও মাথাব্যথার উপশম হয়। কারণ গরম পানিতে পা ডুবিয়ে রাখলে পায়ের দিকে রক্ত ছুটে আসে, যার ফলে মাথার রক্তনালীতে চাপ কমে। অসহনীয় মাথাব্যথার ক্ষেত্রে গরম পানিতে অল্প পরিমাণে সরিষা গুঁড়া মেশাতে পারেন।
এছাড়াও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। তিনবেলা পর্যাপ্ত খাবার খান। নিয়মিত এবং সুষম খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন বি কমপ্লেক্সযুক্ত খাবার খান। পানিতে সহজেই দ্রবীভূত হওয়া এই ভিটামিনের অনেক গুণ আছে। এই ভিটামিন মাথা ধরা রোধ করতে সক্ষম। ডিম, কলা, মাছ, ডাল, সাইট্রাস ফল যেমন লেবু ইত্যাদিতে এই ভিটামিন আছে। এগুলো ডায়েটে যোগ করুন। আর স্ক্রিন টাইম কমিয়ে আনতে হবে।