কোলেস্টেরলের কথা শুনলেই আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। কিন্তু শরীরে কোলেস্টেরল থাকলেই যে বিপদ, এমনটা কিন্তু নয়। কোলেস্টেরল এক ধরনের চর্বিজাতীয়, তৈলাক্ত স্টেরয়েড যা সব প্রাণীর রক্তে পরিবাহিত হয়। ভালো এবং খারাপ দুই ধরণের কোলেস্টেরল আছে। এমন কিছু উচ্চ কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার আছে যেগুলো আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকার করতে পারে। আবার খারাপ কোলেস্টেরল হৃদরোগ এবং আরও কিছু রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই খাওয়ার আগেই সচেতন হতে হবে। যেসব খাবারে উচ্চ কোলেস্টেরল আছে তবে স্বাস্থ্যকর সেসব খাবার খেতে হবে। এমনই কিছু খাবারের তালিকা দেওয়া হল—
ডিম
প্রোটিনের উৎস হিসেবে পরিচিত ডিম হল সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবার। এতে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকে। একটি বড় ডিম (৫০ গ্রাম) থেকে ২০৭ মিলিগ্রাম (mg) কোলেস্টেরল পাওয়া যায়।
গবেষণায় দেখা যায়, ডিম কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় না বরং হার্ট-প্রতিরক্ষামূলক উচ্চ-ঘনত্বের লিপোপ্রোটিন (এইচডিএল) কোলেস্টেরলকে বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা ‘ভালো’ কোলেস্টেরল নামেও পরিচিত।
প্রতিদিন ১-২টি ডিম খাওয়া সাধারণভাবে সুস্থ মানুষের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ।
পনির
এক টুকরো পনিরে (২২ গ্রাম) প্রায় ২০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল পাওয়া যায় এবং এটি ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টির একটি ভাল উৎস।
১৩৯ জনের মধ্যে ১২-সপ্তাহের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রতিদিন ৩ আউন্স (ওজ), বা ৮০ গ্রাম ফুল ফ্যাট পনির গ্রহণে এলডিএল (খারাপ কোলেস্টেরল) কোলেস্টেরল বাড়ায় না।
শেলফিস
শেলফিস- ঝিনুক, কাকড়া এবং চিংড়ি—প্রোটিন, ভিটামিন বি, আয়রন এবং সেলেনিয়ামের চমৎকার উৎস।
একটি ৩-ওজ (৮৫ গ্রাম) টিনজাত চিংড়িতে ২১৪মিলি কোলেস্টেরল পাওয়া যায়। এটিও স্বাস্থ্যকর।
হার্ট, কিডনি এবং লিভার
প্রাণীর হার্ট, কিডনি এবং লিভার অত্যন্ত পুষ্টিকর।
উদাহরণস্বরূপ, মুরগির হার্ট শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন বি১২, আয়রন এবং জিঙ্কের একটি চমৎকার উৎস। ৯০০০ টিরও বেশি কোরিয়ান প্রাপ্তবয়স্কদের ওপর ২০১৭ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা অপ্রক্রিয়াজাত মাংস পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করে, যার মধ্যে প্রাণীর হার্ট, কিডনি এবং লিভার আছে, তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কম।
ইয়োগার্ট
পুষ্টিগুণে ভরপুর ইয়োগার্ট হল একটি কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাবার। এক কাপ (২৪৫ গ্রাম) ইয়োগার্টে ৩১.৮ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল পাওয়া যায়।
গবেষণায় দেখা যায়, ফুল ফ্যাট গাঁজনযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণের ফলে এলডিএল কোলেস্টেরল (খারাপ কোলেস্টেরল) এবং রক্তচাপ কমে। এমনকি স্ট্রোক, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কম হয়।
সূত্র: হেলথলাইন