বাংলাদেশ সহ সারাবিশ্বে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। অপরদিকে ডায়াবেটিস পুরোপুরি নিমূলে এখন পর্যন্ত কোন ওষুধ আবিষ্কার হয় নি। তাই ডায়াবেটিসে কেউ আক্রান্ত হলে নানান উপায়ে ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রনে রাখে। তবে ডায়াবেটিস হওয়ার পর নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার চেয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা ভালো।
ডায়াবেটিস হওয়ার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখে তা হলো অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন বা অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস। এক্ষেত্রে জীবনযাপনে কিছু অভ্যাস আয়্ত্ব করলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে যায়। চলুন জেনে নেই আপনার কোন কোন অভ্যাস ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাবে-
প্রতিদিন হাঁটতে হবে
শহর কেন্দ্রীক জীবনে হাটার অভ্যাস আমাদের অনেক কমে গেছে। এই অবস্থায় আমাদের নিয়মিত হাটার অভ্যাস থাকতে হবে। যাদের পিতা-মাতা বা পরিবারের সদস্যদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের ডায়াবিটিসের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এক্ষেত্রে তাদের আগে থেকে সতর্ক হতে হবে। প্রতিদিন তাদের শারিরীক ক্ষমতা অনুযায়ী তারা হাটবে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
স্থলত্ব ডায়াবেটিস সহ ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই ওজনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ অতিরিক্ত ওজন রক্তে শর্করার মাত্রায় ইনসুলিন প্রতিরোধ এবং ভারসাম্যহীনতায় অবদান রাখে।
জীবনযাপনে পরিবর্তন আনা
যাদের বংশগত ভাবেই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকে তাদের ক্ষেত্রে সুস্থ জীবনযাপন করতে হবে। নিয়মিত চেকাপে থাকা ভালো। যাদের ঝুঁকি আছে তাদের খাবারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। রক্তে শর্করা বাড়াতে পারে এমন খাবার বাদ দিতে হবে।
ধূমপান ত্যাগ করা
ধূমপান ক্যানসার সহ নানান সমস্যার কারণ। ধূমপান ত্যাগ করলে তা ধীরে ধীরে টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে বলে প্রমাণিত হয়েছে। তাই ধূমপান বন্ধ করতে হবে।
মিষ্টি এড়িয়ে চলা
সাধারণ মিষ্টিজাতীয় খাবার, ফাস্টফুড, কোমল পানীয়, ভারী খাবার স্থূলতার ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দেয়। স্থূলতা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। আবার মিষ্টি জাতীয় খাবার রক্তে কোলেস্টেরল বাড়ায় তাই মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।