অনেকেরেই সারাবছর বদহজমের সমস্যা লেগেই থাকে। কোনও কিছু খেলেই পেটে গন্ডগোল লেগে যায়। তাই খেয়েও শান্তি নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিনের বদভ্যাসের কারণেই হজমের গোলমাল হচ্ছে।
ব্যস্ততার কারণে খাবারের দিকে পুরোপুরি খেয়াল রাখা হয়ে ওঠে না আমাদের। একেক দিন একেক সময়ে খাওয়া, অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, শারীরিক শ্রমের অভাব ইত্যাদি কারণে হজমজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ফ্রাস্ট ফুড খাবার
বাইরে গিয়ে প্রতিদিনই আমাদের অনেকেরই অভ্যাস থাকে বাইরের তেলমশলাদার খাবার খাওয়া। রাস্তার খাবার বেশি খেলেই কিন্তু হজমের সমস্যা বাড়বে।
খাওয়ার মাঝে পানি খাওয়া
খেতে বসেই খাওয়ার মাঝে ঢকঢক করে পানে খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই। জানেন কি, আপনার এই বদঅভ্যাসে খাওয়ার পর অস্বস্তি ও বদহজমের সমস্যা হতে পারে। খেতে বসে পানি না খাওয়াই ভাল। যদি পানি ছাড়া খেতে না পারেন তা হলে ছোট ছোট চুমুক দিন গ্লাসে। অল্প অল্প পানি খাদ্যানালীতে খাবারের চলমানতা ভাল রাখবে।
ফ্রিজ থেকে বের করে খেয়ে ফেলা
ফ্রিজ থেকে বের করেই খেয়ে নেওয়ার অভ্যাস বদহজমের জন্য দায়ী। খাবার ভাল করে গরম করে খান। টাটকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। বেশি দিন ধরে ফ্রিজে রাখা বাসি খাবার খেলেই বদহজম হবে।
বেড টি
ঘুম ভাঙলে বিছানায় বসে চা বা কফি খান অনেকেই। পানির বদলে চা খাওয়ার অভ্যাস আপনার বদহজমের জন্য দায়ী। অনেকেই খালি পেটে উষ্ণ পানিতে লেবুর রস দিয়ে খেয়ে থাকেন। এই অভ্যাসও ভাল।
এক সঙ্গে প্রচুর স্টার্চ ও প্রোটিন খাওয়া
প্রচুর পরিমাণ স্টার্চ (ব্রেড, পাস্তা, ভাত বা আলু) ও প্রোটিন (মাছ, চিকেন, মাটন, বিফ বা ডিম) এক সঙ্গে খেলে বদহজম ও অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা হতে পারে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে পারলে স্টার্চ খেয়ে নিয়ে তারপর প্রোটিন খান। যদি মনে হয় প্রোটিন বেশি খাবেন তাহলে সেদিন ভাত একটু কম খাবেন।