আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানান রকম অভ্যাস থাকে। এই যেমন ধরেন কারও অভ্যাস ঘুম থেকে সূর্যদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ওঠা আবার কেউ বেলা গড়িয়ে দুপুর হলে ওঠে। এরম বিভিন্ন ধরণের অভ্যাস আছে যার কিছু কিছু আমাদের শরীরের জন্য ভালো আবার কিছু আছে যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আর যে গুলো ক্ষতিকর সে গুলোই শরীরের নানান সমস্যার জন্য দায়ী। তাই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অভ্যাস গুলো ত্যাগ করা উচিত। তাই আগে আমাদের জেনে নিতে হবে কোন অভ্যাস গুলো আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে যাচ্ছে।
একনাগাড়ে দীর্ঘ সময় বসে থাকা
অনেকেই আছেন যারা দীর্ঘ সময় একনাগাড়ে বসে থাকেন। বিশেষ করে যারা চাকরিজীবী তাদের কাজের তাগিদে দীর্ঘক্ষণ অফিসের চেয়ারে বসে থাকতে হয়। প্রতিদিন একনাগাড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকাটা শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর। সুস্থ থাকতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই এই অভ্যাস বাদ দিয়ে কাজে বিরতি নিয়ে হাঁটাহাঁটি করতে হবে।
নিয়মিত ফাস্ট ফুড খাওয়া
ফাস্ট ফুড মজাদার এবং সময় বাঁচায় নিঃসন্দেহে। ঝটপট যখন তখন খেয়ে নেওয়া যায়। কিন্তু নিয়মিত ফাস্ট ফুড খাওয়া মানে নিজের বিপদ ডেকে আনা। ফাস্ট ফুডগুলোতে থাকে উচ্চমাত্রায় ট্রান্সফ্যাট, শর্করা এবং সোডিয়াম। তাই এসব খাবার বেশি খেলে স্থূল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি অনেক। হৃদ্রোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়ে।
সকালের নাস্তা না খাওয়া
সকালের খাবারকে দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হিসাবে পরিচিত করার একটি কারণ রয়েছে। এটি আপনার বিপাক শুরু করে এবং দিনের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি দেয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবারটি কখনোই বাদ দেওয়া উচিত নয় কারণ এটি শক্তি কমিয়ে দেয়, মনোযোগ দুর্বল করে এবং বিকেলে অতিরিক্ত খাওয়ার কারণ হতে পারে।
পর্যাপ্ত পানি পান না করা
শারীরিক প্রতিটি ক্রিয়াকলাপের জন্য পানি অত্যাবশ্যক। নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি সবাইকেই পান করতে হয়। না হলে ডিহাইড্রেশন ক্লান্তি, মাথাব্যথা এবং হজমের সমস্যা সৃষ্টি করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অপর্যাপ্ত হাইড্রেশন কিডনি সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে এবং আপনার ত্বককে প্রভাবিত করতে পারে। সারাদিন নিয়মিত পানি পান করার অভ্যাস করুন।
উচ্চ শব্দে গান শোনা
অনেকেই আছেন যারা উচ্চ শব্দে গান শুনতে পছন্দ করে। কিন্তু আপনার এই অভ্যাস আপনার মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতি করে। ক্রমাগত জোরে গান শোনার ফলে শ্রবণশক্তির ক্ষতি হতে পারে এবং চাপের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে, যার ফলে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়।
ঘুম
গভীর ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। সেটা করতে হবে সময় মেনে এবং নির্দিষ্ট পরিমাণে। মাত্রাতিরিক্ত ঘুমালে তা আপনার শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলে। প্রতিদিন সাত থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমান উচিত। এর কমবেশি হলে তা শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আবার নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে যাওয়াও গুরুত্বপূর্ণ।