শীত মানেই ঘোরাফেরা। এই সময় প্রায় অধিকাংশ মানুষই বেড়াতে বের হন। বন্ধুদের সঙ্গে কিংবা পরিবারের সবাইকে নিয়ে শহরের বাইরে কিংবা দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। কেউ ছুটে যান পাহাড়, সমুদ্রে, কেউ আবার ছুটে যান বরফ দেখতে। সকাল থেকে রাত অবদি নানা স্থানে ঘুরে বেড়ান। তাই এই সময় স্বাস্থ্য ঠিক রাখা বড় চ্যালেঞ্জ। খাওয়া দাওয়া, ঘুম, পোশাক সবকিছুই পারফেক্ট হতে হয়। নয়তো স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। সহজেই অসুস্থ হতে পারেন আপনি কিংবা পরিবারের অন্যরা। তাই শীতের ভ্রমণ করতে হলে সুস্থ থাকার বিষয়গুলো খেয়াল রাখুন।
সুস্থ থাকার পূর্বশর্ত হলো পুষ্টিকর ও পর্যাপ্ত খাওয়া দাওয়া। তাই ঘুরতে গিয়ে বিশেষ নজর দিতে হবে খাওয়া দেওয়ায়। উলটো পালটা খেলে শরীর খারাপ হতে বাধ্য। তখন পুরো ট্যুরটাই নষ্ট হয়ে যাবে। তাই ঘুরতে গিয়ে ডায়েটে কোন কোন খাবার রাখবেন আর কী খাবেন না, চলুন জেনে আসি।
বেড়াতে গিয়ে যতটা সম্ভব হালকা খাবারই খাবেন। ভারী খাবার না খাওয়াই ভালো। কারণ ভারী খাবার সহজে হজম হয় না। তাই ট্রেন বা ফ্লাইটে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। তাই সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে।
শুকনো খাবার সঙ্গে রাখুন। ব্যাগ গোছানোর সময় শুকনো খাবার নিয়ে নিন। ড্রাই ফ্রুটস কেক, বিস্কুট, চিঁড়ে ভাজা, মুড়ি, ছোলা ভাজা বা রোস্টেড মাখানা সঙ্গে নিতে পারেন। তাছাড়া চকোলেট রাখতে পারেন। এটি আপনাকে শক্তি দেবে।
অনেকেই বেড়াতে গিয়ে সেখানকার স্ট্রিট ফুড বা স্থানীয় খাবার খান। পাহাড়ি মোমো বা চাউমিন কিংবা স্থানীয় জনপ্রিয় খাবার খান। তবে উলটো পালটা জায়গা থেকে এসব খাবার না খাওয়াই ভালো। এতে পেটের সমস্যা হতে পারে। অনেকের স্থানীয় খাবার সহ্য হয় না। এমন অভিজ্ঞতা থাকলে এড়িয়ে চলুন।
দীর্ঘক্ষণ বাস, গাড়ি কিংবা ট্রেনে যাত্রা করতে হলে রওনা দেওয়ার আগে হালকা খাবার খান। বেড়াতে গিয়ে তেল-মশলাযুক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো। পেট ফোলা, গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। তাই অতিরিক্ত মশলাজাতীয় কিংবা তেলে ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন।
ঘুরতে গেলে প্রায় সারাদিনই রাস্তায় কেটে যায়। তাই এই সময় শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে পানির বোতল সঙ্গে রাখুন। পানির পাশাপাশি ফলের রসও খেতে পারেন। এতে শরীরে শক্তি পাবেন।
সারাদিন এদিক ওদিক ঘুরে খাওয়ার সময় পার হয়ে যায়। তাই অনেক সময় লাঞ্চ করা হয় না। তাই সকালেই ভারপেট খেয়ে নিন। আর সারাদিন শুকনো খাবার খেতে থাকুন। এতে শরীর দুর্বল হবে না।