শাকসবজি, গোটা শস্য এবং চর্বিযুক্ত মাছসহ কিছু খাবার হার্টের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে। তাই এসব খাদ্য প্রতিদিনের তালিকায় রাখা উচিত। তবে কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো আমাদের হার্টের জন্য ঠিক না। ফলে সেসব খাবার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া উচিত। চলুন জেনে নেই হার্ট সুস্থ রাখতে কোন কোন খাবার বাদ দেবেন-
ফাস্ট ফুড
ফাস্টফুড খেতে সুস্বাদু, কারণ এসব খাবার প্রচুর সুগার আর ফ্যাটে (শর্করা ও চর্বিজাতীয়) ঠাসা থাকে। তাতে পুষ্টির কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। নিয়মিত ফাস্টফুড খেলে শরীরে স্বল্পমেয়াদি এবং আরও ভয়ংকর দীর্ঘমেয়াদি নানা স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। হার্ভার্ড হেলথের মতে, হ্যামবার্গার, ফ্রাই এবং চিনিযুক্ত কোমল পানীয় প্রদাহ বৃদ্ধি করতে পারে, যা ধমনী-ক্লগিং প্লেকের বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
কোমল পানীয়
হার্ভাড ইউনিভার্সিটির টিএইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথ পরিচালিত নতুন এক গবেষণায় দেখা যায়, চিনি দিয়ে বা কৃত্রিম মিষ্টি দিয়ে তৈরি কোমল পানীয় আগাম মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দিচ্ছে। কারণ এসব খাবারের কারণে হৃদরোগ এবং কয়েক ধরনের ক্যান্সারের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। তাই কোমল পানীয় খাওয়া বাদ দেওয়া উচিত।
স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা জমাট-বাঁধা চর্বি জাতীয় খাবার
খাদ্য বিজ্ঞানীরা বলছেন, যেসব খাবারে বেশি স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা জমাট-বাঁধা চর্বি থাকে সেসব খাবার খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে বেড়ে যায় হৃদরোগের ঝুঁকিও। চিজ, দই, লাল মাংস, মাখন, কেক, বিস্কিট ও নারকেল তেলে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। তাই এসব খাবারও যথাসম্ভব কমিয়ে দেওয়া উচিত।
লবণ
লবণ বেশি খেলে শরীরে রক্তচাপ বেড়ে যায়। এর ফলে বৃদ্ধি পায় হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও। ব্রিটেনে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হয় যে এনএইচএস থেকে তাদের পরামর্শ হলো দিনে সর্বোচ্চ ৬ গ্রাম (এক চা চামচের পরিমাণ) লবণ খাওয়া যেতে পারে।
অ্যালকোহল
অ্যালকোহল আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষের জন্য বিষাক্ত, এমনটাই বলেন কার্ডিয়াক সার্জন জেরেমি। এমনকি মাঝারি বা মাঝে মাঝে গ্রহণ করলে তাও আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। ফলে অ্যালকোহল বাদ দিতে হবে।