• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

দৃষ্টিশক্তি প্রখর রাখতে যে খাবারগুলো খাবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২৪, ০৭:১৩ পিএম
দৃষ্টিশক্তি প্রখর রাখতে যে খাবারগুলো খাবেন
ছবি: সংগৃহীত

মানবদেহের সংবেদনশীল অঙ্গ চোখ। নানান সমস্যা এবং বার্ধক্যজনিত কারণে আমাদের চোখের দৃষ্টি কমে আসে। তাছাড়া ইলকট্রনিক স্ক্রিনের দিকে ক্রমাগত দীর্ঘসময় ধরে তাকিয়ে থাকার কারণে প্রভাব পড়ে আমাদের চোখের ওপর। তাই চোখের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। আর যত্নশীল হতে হবে শিশুকাল থেকেই। শিশুদের সার্বিক বিকাশ এবং সুস্থতার জন্য চোখের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চোখ ভালো রাখতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করার মাধ্যমে চোখের রোগ প্রতিরোধ করা যায়।

চলুন জেনে নেওয়া যাক যে ধরনের খাবার চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে।

  • ভিটামিন এ এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়। তাই চোখের জন্য ভিটামিন এ যুক্ত খাবারের গুরুত্ব অপরিসীম। ডিম, গরুর কলিজা, ঘি, মাখন ভিটামিন এ এর ভালো উৎস। দুধ ও দইয়েও আছে প্রচুর ভিটামিন এ এবং জিংক। জিংক লিভার থেকে চোখের রেটিনায় ভিটামিন এ অণু পৌঁছে দিতে সহায়তা করে। 
  • এ ছাড়াও গাজর, মিষ্টি আলু এগুলোতে ভিটামিন এ এর সঙ্গে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই ২ উপকারী উপাদান আমাদের চোখ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের খাদ্যাভাসে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে দুধ ও গাজর নিয়মিত খেতে পারেন সবাই।
  • ভিটামিন সি চোখের কোষ নষ্ট হওয়া রোধ করে। রক্ত চলাচলের জন্য এই ভিটামিনটি গুরুত্বপূর্ণ। চোখে রক্ত চলাচল ভালো হলে সংক্রমণ কম হয়। কমলালেবু, লেবু, টমেটো, পেয়ারা, স্ট্রবেরি এগুলো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার। এগুলো চোখের প্রদাহ কমায়।
  • পূর্ণ শস্যজাতীয় খাদ্যে গ্লিকেমিক ইনডেক্স কম থাকে। যা চোখের পেশির ক্ষয় এবং বার্ধক্যজনিত সমস্যা প্রতিরোধ করে। এই শস্য রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসও প্রতিরোধ করে যা দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসার প্রধান কারণ।
  • চোখের পানি পড়া রোধ করতে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। তাই পালং শাক, সূর্যমুখী ফুলের বীজ, ব্রোকলি, বাদাম, চিংড়ি, অলিভ অয়েল বেশি করে খেতে হবে।
  • রুই, কাতলা, ইলিশ, মাগুর, সামুদ্রিক মাছ, ফ্ল্যাক্স সিড অয়েল থেকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায়। এগুলো চোখ ভালো রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি দেয়।
  • গাজরে আছে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন যা চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখা এবং চোখের কার্যক্রম সচল রাখায় সহায়ক ভুমিকা পালন করে। এছাড়া চোখের কোনো ধরনের ক্ষয়ও হতে দেয় না গাজর।
  • লুটেইন এবং জেক্সানথিনের অন্যতম উৎস হলো ভুট্টা, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ চোখ সুরক্ষায়। এই উপাদানসমূহ চোখের আয়ু ধরে রাখতে পারদর্শী।
  • সর্বোপরি প্রচুর পরিমাণে ফল ও শাকসবজি খান। সব ধরণের ফল ও শাকসবজি চোখের জন্য ভালো।
Link copied!