ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত রোগ এবং যে ভাইরাসের কারণে রোগটি হয়, তার নাম ডিইএনভি। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব এসময় খুব বেড়ে যায়। শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সীদের এই জ্বর কাবু করে ফেলে। আক্রান্ত হওয়ার ৩-১৪ দিনের মধ্যে এই রোগের লক্ষণগুলোর স্পষ্ট হয়। যেমন- ব্যাপক জ্বর, মাথা ব্যাথা, বমি বা বমি বমি ভাব, মাংসপেশিতে ব্যাথা, হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যাথা, ত্বকে র্যাশ ইত্যাদি।
ডেঙ্গু জ্বর হলে জ্বরের তীব্রতা বেড়ে যায়। বমি হয়। শিশুদের ক্ষেত্রেও জ্বরের সময় রুচি কমে যায়, খাবার খেতে গেলে অনেক সময় বমি হয়। এভাবে না খেলে বা খেতে না পারলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়, তখন রক্তশূণ্যতাও দেখা দেয়। আবার ডেঙ্গু জ্বরে রক্তনালি থেকে রক্তের তরল অংশ নালির বাইরে চলে আসে। যার কারণেও পানিশূন্যতা তৈরি হয়। তাই শিশুদের ডেঙ্গু হলে কী খাওয়াবে তাই নিয়ে চিন্তিত থাকেন অভিবাবকেরা।
যেহেতু এ সময় শিশুদের খাবারের প্রতি অনীহা থাকে এবং একই সঙ্গে পানিশূণ্যতা তৈরি হয় তাই ডেঙ্গু হলে শিশুদের বেশি করে তরল খাবার দিতে হবে। একসঙ্গে অনেকটা তরল বা পানীয় শিশুর খেতে পারে না বলে বার বার তাকে দিতে হবে। সে যতটুকু সম্ভব খাবে। শিশুকে তরলের ঘাটতি পূরণে দুধ, ফলের রস, পানি, ভাতের মাড়, ওরস্যালাইন বা বার্লিও খাওয়ানো যেতে পার। সাদা পানির চেয়ে ফলের রস, ওরস্যালাইন খাওয়ানো ভালো। তবে অবশ্যেই সুষম খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে। পুষ্টি উপাদান ও পর্যাপ্ত পানির চাহিদা পূরণে তাকে সঠিক খাওয়াদাওয়া চালিয়ে যেতে হয়।
শিশুদের যতটুকু খাবার দেবেন দেখবেন তার মধ্যে অন্তত ২৫ শতাংশ খাবার স্যালাইন যেন থাকে। খাবার স্যালাইন রক্তচাপ ধরে রাখার জন্য প্রয়োজন।
সতর্কতা
- খেয়াল রাখবেন যদি আপনার শিশুর উচ্চ রক্তচাপ থাকে তাহলে অবশ্যই রক্তচাপ মেপে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী স্যালাইন পানি দিতে হবে।
- ডেঙ্গুর সময় শিশুর যদি ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা প্রস্রাব না হয়, তাহলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। কারণ ডেঙ্গু জ্বরে পানিশূন্যতা বা ওভার হাইড্রেশন দুটোই বিপজ্জনক।