প্রতিদিনের খাবারে আয়রন, ভিটামিন বি১২, ফলিক অ্যাসিডের মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু পুষ্টি উপাদানের অভাবে রক্তস্বল্পতার সমস্যা দেখা দেয়। রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে তা আরও অনেক অসুখের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই আমাদের সুস্থতার জন্য রক্তস্বল্পতার সমস্যা দূর করা জরুরি। এই সমস্যা মোকাবিলায় রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ঠিক রাখা এবং আয়রনের সমতা বজায় রাখা খুব জরুরি। এ জন্য খাওয়া যেতে পারে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রনসমৃদ্ধ খাবার। চলুন জেনে নেওয়া যাক রক্তস্বল্পতা দূর করতে কোন খাবারগুলো খাবেন-
শুকনো ফল
হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে চাইলে খেতে পারেন শুকনো ফল। এছাড়া কিসমিস, কাজু, খেজুরে প্রচুর আয়রন রয়েছে।
বেদানা
বেদনায় থাকে ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ফাইবার, পটাশিয়াম ও প্রোটিন। সেইসঙ্গে থাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি। এই ভিটামিন সি রক্তস্বল্পতা দূর করতে দারুণ কার্যকরী।
শাক-সবজি
শাক-সবজি খেলে আয়রনের ঘাটতি অনেক কমে। কচু, টমেটো, কুমড়ো, ব্রকোলি বা পালং শাকে প্রচুর আয়রন থেকে। এধরণের শাকসবজি খেলে আয়রনের ঘাটতি কমে। এছাড়াও খেতে পারেন বিট। প্রচুর আয়রন থাকে বিটে, যা লোহিত রক্তকণিকার জন্য অত্যন্ত জরুরি উপাদান।
কলিজা
কলিজায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ভিটামিন বি আছে। রক্তস্বল্পতা রোগের প্রধান কারণ দেহে আয়রনের ঘাটতি। তাই রক্তশূন্যতায় ভুগছেন যারা ্তারা নিয়মিত কলিজা খেতে পারেন। তবে যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের অবশ্যই গরুর কলিজা থেকে দূরে থাকতে হবে।
আপেল
আপেলে থাকে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ফ্লেভানয়েড, ডায়েটরি ফাইবার এবং আয়রন। যে কারণে নিয়মিত এই ফল খেলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের ভারসাম্য বজায় থাকে। ফলে রক্তস্বল্পতা থেকে বাঁচা সহজ হয়।
ডাল ও বীজ
রক্তস্বল্পতা দূর করতে কার্যকরি মসুর, মুগ কিংবা মাসকলাইয়ের ডাল। কারণ এই খাবারগুলিতে প্রচুর ফোলেট পাওয়া যায়। ফোলেট রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া কুমড়ো বীজ, কাজু বাদাম, পেস্তা, শণ বীজ, পাইন বাদাম, সূর্যমুখী বীজ ইত্যাদি রক্তস্বল্পতা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।। ১০০ গ্রাম ডাল বা ছোলায় আয়রনের পরিমাণ ৪.০-৫০ মিলিগ্রাম।
ডিম
ডিমে রয়েছে প্রোটিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। রক্তস্বল্পতা কমিয়ে শরীরে রক্তের পরিমাণ বাড়াতে ডিম খুব উপকারী। ডিমের কুসুমে রয়েছে আয়রন। এটি শরীরে লোহিত রক্তের পরিমাণ বাড়ায়। একটি ডিমে ১.০ মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া যায়।