জীবনের চলার পথে নানা জটিলতায় মানসিক উদ্বেগের শিকার কমবেশি সবাই। পরিসংখ্যান বলছে, গোটা বিশ্বে প্রায় ২৭ কোটি মানুষ উদ্বেগজনিত সমস্যায় ভুগছেন। দুশ্চিন্তা, অবসাদ, বিভিন্ন রকমের ভয় কিংবা মেলামেশার সমস্যা— মানসিক অসুস্থতার লক্ষণ একাধিক। তবে শরীর সুস্থ রাখতে কোন ভাবেই মানসিক চাপকে বেশিদিন সঙ্গী করা যাবে না। এর জন্য আপনি খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন কিছু বিশেষ খাবার যা আপনার মানসিক উদ্বেগ কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সহায়ক হবে। দেখে নিন কোন কোন খাবার মানসিক উদ্বেগের সমস্যা কমাতে কাজে আসতে পারে।
কলা
উদ্বেগ বেড়ে গেলে তা হৃদ্স্পন্দনকেও প্রভাবিত করে। হৃদ্স্পন্দনকে স্বাভাবিক ছন্দে রাখতে সাহায্য করে ম্যাগনেশিয়াম। আর এই যৌগটির প্রাকৃতিক উৎস হল কলা।
দই
প্রোবায়োটিকে ভরপুর দই-এ প্রদাহ কমে। স্নায়ু সংবেদ স্বাভাবিক রাখতেও এর জুড়ি মেলা ভার। পাশাপাশি প্রোবায়োটিকে বাড়ে সেরোটোনিন। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে দু’বার করে ১২৫ গ্রাম দই এক মাস খেলে অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়, ফলে কমে মানসিক উদ্বেগ।
রসুন
বহু গবেষণা থেকেই প্রমাণিত রসুনের বেশ কিছু উপাদান উদ্বেগ এবং অবসাদ থেকে মনকে দূরে রাখে। রসুনের শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খুবই সহায়ক। নিয়মিত রসুন খেলে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে মানসিক চাপও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। রান্নাঘর থেকে প্রতিদিন ৪ গ্রাম রসুন আপনার স্ট্রেস হরমোন কমাতে জাদুর মতো কাজ করবে।
পালংশাক
পালং শাক প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেশিয়াম এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ। এই দুটি উপাদানই মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে।
ডিম
জন্মের ছয় মাস থেকে শুরু করে আমৃত্যু প্রতিদিন একটি ডিম আপনি খেতেই পারেন। ডিমে আছে কোলাইন বলে একটি উপাদান। এটি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। মানসিক চাপ কমায়। তবে বিশেষ কোনো শারীরিক অবস্থার কারণে ডিমে নিষেধাজ্ঞা থাকলে আলাদা কথা।
ডার্ক চকলেট
প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ গ্রাম ডার্ক চকলেট আপনার মানসিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।
গ্রিন টি
ল্যাভেন্ডার বা ক্যামোমাইল ইত্যাদি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ চা স্নায়ুকে শান্ত রাখে। এ ছাড়া চা পানের অভ্যাস শরীরের দূষিত পদার্থ বাইরে বের করে দেয়।
ব্রকলি
এটিতে সালফোরাফেন নামক উপাদান রয়েছে। যা অবসাদের পরিমাণ কমায় এবং মন শান্ত করে। দৈনিক এক কাপ ব্রকলি খেলেই কর্টিসলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
বাদাম
কাঠবাদাম, আখরোট, চিনেবাদামে রয়েছে ভরপুর প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, এবং সবচেয়ে উপকারী উপাদান ম্যাগনেশিয়াম। বাদামের এই সব উপাদান মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে সচল রাখতে সাহায্য করে।