শরীরে শক্তি যোগানোর জন্য খাবারই ভরসা। আর ব্যস্ততম জীবনে শুধুমাত্র শক্তি দিয়েই চলে না সঙ্গে প্রয়োজন হয় সতেজতা বা চনমনে অনুভূতির। তাই শরীরকে প্রাণচঞ্চল রাখতে চিকিৎসকেরা যেমন কিছু খাবারের ওপর জোর দিতে বলেন তেমনি কিছু খাবারেও রয়েছে যেগুলো আমরা নিয়মিত খাই কিন্তু খাওয়ার পরে ক্লান্তি ভর করে। আজ জানিয়ে সে খাবারগুলো কী-
চিনি
সাময়িক ভাবে শক্তি জোগালেও কিছু সময় পরে শরীরে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তাই যখন শরীর ক্লান্ত বা দুর্বল লাগে, সেই সময়ে আইসক্রিম, পেস্ট্রির মতো চিনিতে ভরা খাবার এড়িয়ে যাওয়ায় ভালো।
কফি
অবাক হলেও সত্য যে, কফি খেলে ক্লান্তি লাগতে পারে। কারণ ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় কফি, চা ইত্যাদি শরীরকে ক্লান্ত করে তোলে, এমনটাই জানাচ্ছেন গবেষকরা। ক্যাফেইনজাতীয় পানীয়, ঘুম তাড়াতে বা শরীরকে চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে, তবে তা খুব অল্প সময়ের জন্য। শরীর যখন পুরো ক্যাফেইন ভেঙে ফেলে তখন তা শরীরকে ক্লান্ত করে ফেলে।
চিজ
চিজে রয়েছে উচ্চমাত্রার স্যাচুরেটেড ফ্যাট, সোডিয়াম এবং কোলেস্টেরল। চিজ খেতে ভাল লাগলেও চিজ দ্রুত হজম হতে চায় না। তাই যখন শরীর ক্লান্ত থাকবে, তখন চিজ না খাওয়াই ভালো।
কুমড়ার দানা ও কলা
যেসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম আছে, সেগুলো শরীরকে সহজেই ক্লান্ত করে ফেলে। কলা ছাড়াও কুমড়ার দানা, কিছু কিছু মাছ ইত্যাদি খাবার শরীরে ক্লান্তি বাড়িয়ে দিতে পারে। এই মিনারেলটি পেশীকে আরাম দেয়। তাই এ ধরনের খাবারগুলো ঘুমের আগে খাওয়া যেতে পারে, না হলে শরীরকে ক্লান্ত করে ফেলতে পারে।
আটার রুটি ও চাল
রুটি বা ভাত খেতে বেশ লাগে সবারই। তবে এসব খাবার শরীরে শক্তি সঞ্চার কম করে। তবে লাল আটা ও চালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা শরীরে শক্তি জোগায়। তবে পরিশোধিত আটা এবং চালের তৈরি খাবারে ফাইবারের পরিমাণ কম থাকায় তা শরীরে শক্তি জোগাতে পারে না, ফলে শরীর তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে যেতে পারে।
মাংস
গরু বা খাসির মাংসের প্রতিও বেশিরভাগ মানুষের আকর্ষণ বেশি থাকে। আর এই মাংসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট, যা ভাঙতে শরীরের বাড়তি শক্তি খরচ হয়। আর তাই ক্লান্তি চেপে বসতে পারে খুব সহজেই।
মিষ্টিজাতীয় খাবার
দুপুরে খাবারের পর অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে শরীরে খুব সহজেই ক্লান্তি ভর করতে পারে। চিনিজাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে ইনসুলিন ছড়িয়ে পরে। যা অ্যামাইনো অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। আর এর ফলে ঘুম ঘুম ভাব হতে পারে। তাই দুপুরে খাবারের পর পেস্ট্রি বা ডেজার্ট এড়িয়ে চলাই ভালো।