• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বর্ষায় যেসব খাবারে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়বে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২৪, ০১:৩৪ পিএম
বর্ষায় যেসব খাবারে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়বে
রসুন বিভিন্ন রোগের প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ছবি: সংগৃহীত

বর্ষা যেমন স্বস্তির তেমনি নিয়ে আসে বিভিন্ন রকমের সংক্রমণ। বর্ষাকালের অতিরিক্ত আর্দ্রতা ও তাপমাত্রার পরিবর্তন শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে দুর্বল করে দিতে পারে। ফলে জ্বর, সর্দি-কাশি’সহ নানা রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই এ সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খাদ্যাভাস গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বর্ষায় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে যা খাবেন:

হলুদ, দুধ ও চা
হলুদে কারকিউমিনসমৃদ্ধ উপাদান রয়েছে, যা শক্তিশালী প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্যের। নিয়মিত হলুদ–চা ও রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস কুসুম গরম দুধে হলুদ যোগ করে খেতে পারেন। সাধারণ অসুস্থতা ও সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে। হলুদ-চা বানানোর জন্য দুই কাপ পরিমাণ পানি ফুটিয়ে তাতে হলুদ যোগ করে আবার ফোটান। তারপর কিছুক্ষণ রেখে ছেকে খেয়ে নিন হলদ-চা।

বিট
বিটরুট ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে ভরপুর। এতে আরও রয়েছে প্রচুর ফাইবার ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। বিভিন্ন পুষ্টিগুণ ও ঔষধিগুণ সম্পন্ন এ সবজিটিকে সুপারফুডও বলা হয়ে থাকে। সবজি হিসেবে খেতে পারেন বিট। এছাড়া যোগ করতে পারেন সালাদে। আবার বিটের রস করে খেলেও উপকার পাবেন।পর্যাপ্ত পরিমাণে বিটরুটের জুস খেলে শরীরের টক্সিন দূর হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

কমলালেবু
রসালো টক-মিষ্টি স্বাদের এই ফল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বেশ কার্যকরী। এছাড়া শ্বেত রক্তকণিতা তৈরিতে সহায়তা করে কমলালেবুর পুষ্টিগুণ।

স্যুপ ও স্টু
বৃষ্টির দিনে তাজা শাকসবজি ও মাংস দিয়ে স্যুপ ও স্টু শুধু সুস্বাদু নয়, প্রয়োজন মিটবে ভিটামিন ও খনিজেরও।

রসুন
রসুন বিভিন্ন রোগের প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এতে অ্যালিসিন নামক একটি যৌগ রয়েছে, যার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধিকারী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। খাবারে রসুন যোগ করলে তা শুধু স্বাদই বাড়ায় না; বরং রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।

আদা
আদা শরীরে উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। এতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা গলাব্যথা উপশমে ও ফ্লুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। তাই চা বা অন্য খাবারে আদা যোগ করুন।

আমন্ড
আমন্ডের মধ্যে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসই মূলত আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সুদৃঢ় করে। সকালবেলায় খালি পেটে খেতে পারেন ২ থেকে ৩টি আমন্ড। আগের দিন রাতে জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে খোসা ছাড়িয়ে খেয়ে নিন।

লেবু
লেবু ভিটামিন সি-এর গুরুত্বপূর্ণ উৎস, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সালাদ বা কুসুম গরম পানিতে লেবু সর্দি-কাশিসহ সাধারণ অসুখ থেকে বাঁচতে বেশ কার্যকর।

মসলা–চা
মসলা চা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আদা, এলাচি, দারুচিনি যোগ করে এক কাপ গরমমসলার চা ওষুধের মতো কাজ দেবে।

টকদই
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে আরও একটি খাবার সাহায্য করে, সেটি হলো টকদই। এটি একটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার। টকদইয়ের মধ্যে ফল, ড্রাই ফ্রুটস, ওটস, চিয়া সিডস, কর্নফ্লেক্স মিশিয়ে খেতে পারেন।

করলা
করলা একটি ঔষধি গুণসম্পন্ন সবজি। এটি শরীরের জন্য অনেক উপকারী। করলাতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম জিংক, আয়রন ইত্যাদি উপাদান। করলার রসে থাকা ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা  বাড়ায় এবং বিভিন্ন সংক্রমণ প্রতিহত করে।

Link copied!