নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ—যে কেউ যেকোনও সময় পতঙ্গের আক্রমণের শিকার হতে পারেন; কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকি বেশি। তবে অন্য যেকোনও সময়ের তুলনায় বর্ষাকালে বা বন্যায় পতঙ্গের আক্রমণ বেড়ে যায়। তাই এসময় শিশু সহ বাকিদের পোকামাকড়েরর হাত থেকে রক্ষায় সতর্ক থাকতে হবে।
সাবধানে থাকার পরেও অনেক সময় পোকার কামড়ে আক্রান্ত হতে হয়। হঠাৎ এই আক্রমণের প্রতিক্রিয়া হয় মারাত্মক। পোকার কামড়ের পর সাধারণত কামড়ের স্থানে ত্বকে লাল চাকা, দাগ, ব্যথা, ফোলা, ফুসকুড়ি হতে দেখা যায়। ফোসকাও পড়তে পারে। সাধারণত এসব উপসর্গ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেরে যায়। তবে কখনও কখনও প্রদাহ বেশিও হতে পারে।
- পোকা কামড়ালে যা করবেন
মৌমাছি, বোলতা, ভিমরুলের মতো পোকার হুল শরীরে ফুটলে কষ্ট লাগলেও ক্ষতস্থানের জায়গাটা যতটা সম্ভব স্থির রাখতে হবে। কারণ, যত বেশি হাত-পা নাড়াচাড়া করা হবে, তত দ্রুত রক্তপ্রবাহে বিষ ছড়িয়ে যেতে শুরু করবে। হুল ফুটে গেলে এবং হুল ভেঙে চামড়ার ভেতরে গেঁথে থাকলে, তা যত দ্রুত সম্ভব উঠিয়ে নিতে হবে। - পোকা কামড়ালে প্রথমেই শরীরের সেই জায়গাটি সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলা দরকার।
- বোলতার কামড়ের জ্বলুনি উপশমে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার ওই জায়গায় ছড়িয়ে দিন। এটি ত্বকের জ্বলুনি ভাব কমাতে সাহায্য করবে।
- অ্যালোভেরা জেল, তুলসীপাতার রস লাগাতে পারেন। এতে আরাম পাবেন।
- ব্যথা বাড়লে বা ফুলে গেলে পরিষ্কার কাপড়ে বরফের টুকরো নিয়ে সেঁক দিতে হবে।
- বেশিরভাগ পোকার কামড় উপশমে বেশ কার্যকর বেইকিং সোডা ও অ্যাপল সাইডার ভিনিগার। বেইকিং সোডা ও অ্যাপল সাইডার ভিনিগার একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে কামড়ের জায়গায় লাগিয়ে রাখলে আরাম পাওয়া যাবে।
- তবে শ্বাসকষ্ট, ক্ষতস্থান বেশি ফুলে যাওয়া, চোখ-মুখ-গলা ফুলে যাওয়া, ঢোঁক গিলতে কষ্ট হওয়া, মাথা ঝিমঝিম করা, জ্বর, বমি বা অচেতন হয়ে পড়া ইত্যাদি দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
যা করা যাবে না
অনেকে কোনো পোকা কামড়ালে কামড়ানোর স্থানে ছাই বা গোবর-জাতীয় কিছু প্রয়োগ করেন। এটা করা যাবে না। নখ দিয়ে খোঁটা থেকে বিরত থাকতে হবে।