শরীরে যখন ইনসুলিন তৈরি হতে না পারে তখনই ডায়াবেটিস হয় এবং ধীরে ধীরে রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি সারা বিশ্বব্যাপি বেড়েই চলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী ১৯৮০ সালে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছিল প্রায় ১১ কোটি। আর ২০১৪ সালে হয় ৪২ কোটিরও বেশি এবং এর পরিমাণটা ধীরে ধীরে বাড়ছে। যে কোনও বয়সীদের ডায়াবেটিস হতে পারে। এমনকি একটি শিশু ডায়াবেটিস নিয়েও জন্ম নিতে পারে। নানা কারণে ডায়াবেটিস হতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। তাছাড়া স্থূলতা, দুশ্চিন্তা, হতাশা এসব নানান কারণেও ডায়াবেটিস হতে পারে। সর্বোপরি আমাদের অসচেতনতায় দিন দিন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
- ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন অনুসারে, উচ্চমাত্রায় চিনি টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। অর্থাৎ অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
- প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা অর্থাৎ শরীরচর্চ না করা, অলস সময় কাটালে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।
- আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন জানায়, দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ রক্তের শর্করা বাড়িয়ে দেয়।
- ডায়াবেটিসের আরেকটি কারণ বংশগত কারণ। বংশের অন্য কারও থাকলে বিশেষ করে মা-বাবার হলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকে। যদি এই দিকটির উপর জোর না দেওয়া হয় তাহলে ডায়াবেটিসের জটিলতা আরও বেড়ে যায়।