দিনভর বিরতিহীন কাজের চাপ, মন খুলে আড্ডা দেয়া বা কথা বলে সহজ হওয়ার সময়টুকুও নেই। অফিসে ঢোকার সময় আছে, কিন্তু বেরোনোর কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। পাহাড় সমান কাজের সামনে দাঁড়িয়ে কেমন যেন ঝুঁকে পড়ে কাঁধ। দানা বাঁধে ক্লান্তি, ক্লান্তি থেকে একের পর এক দুশ্চিন্তা, সেই থেকে আরও ক্লান্তি। বিশ্রাম ছাড়াই ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ কিন্তু চাহিদামতো বেতন না পাওয়া শরীর এবং মনে নিয়ে আসে আরও ক্লান্তি। এই ক্লান্তি একসময় মানসিক ও দৈহিকভাবে বাজে প্রভাব ফেলে। তাতে বরং ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি। তাই যতটা সম্ভব নিজেকে মানসিক চাপ মুক্ত রাখার চেষ্টা করা উচিত।
ছুটি
মানসিক ক্লান্তি থেকে মুক্তির প্রথম উপায় ছুটি। নিজের জন্য অন্তত একটা দিনের ছুটি কাটান। আর সেদিন কাজ করা তো দূরের কথা, কাজের কথা ভাবলেও চলবে না। সমস্যা বেশি মনে হলে, দিন কয়েকের ছুটি নিয়ে কোথাও ঘুরে আসা দরকার। মানসিক ক্লান্তি থেকে মুক্তির এর চেয়ে ভাল উপায় হয় না।
পরিবর্তন আনা
নিজেকে একটু আলাদা রাখুন। সারাদিনের ছুটি যদি না মিলে অন্তত কিছু সময়ের জন্য বাইরে হাঁটতে যান, দৌঁড়ালে আরও ভালো হয়। ধ্যান আপনার মনকে শান্ত করবে। শরীরচর্চা শরীরে এনড্রোফিনের নিঃসরণ করবে, এই হরমোন মন ভালো রাখে।
একের বেশি কাজের চাপ নিবেন না
কেন কাজে অতিরিক্ত চাপ হচ্ছে, সেটি বুঝে চাপ কমানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। একের বেশি কাজের চাপ নিবেন না। প্রয়োজনে কোন সময় কী ভাবে কাজ করলে সুবিধা হতে পারে, সে ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করতে হবে। চেষ্টা করতে হবে টানা কাজ না করে মাঝেমধ্যে একটু বিশ্রাম নেওয়ার।
নিঃশ্বাসের ব্যায়াম করুন
এতে শরীর সতেজ থাকবে এবং মস্তিষ্কও সুস্থ থাকবে। নিঃশ্বাসের কিছু সহজ ব্যায়াম শিখে নিন। সেগুলো কাজের ফাঁকে ফাঁকে করুন। এতে শরীর সতেজ থাকবে এবং মস্তিষ্কও সুস্থ থাকবে।
বডি মাসাজ
শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি দূর করতে মাসাজ খুবই কার্যকর। পুরো শরীর, মাথা বা পায়ে মাসাজ করালে স্নায়ু ও মাংসপেশি ধীরে ধীরে শিথিল হয়ে যায়। এতে আরামবোধ হয়। ভাল লাগে।
পছন্দের কাজে করুন
বই পড়া, হাসির অনুষ্ঠান দেখা, সিনেমা বা পছন্দের যে কোনও কাজ আপনার মনে আনন্দ যোগাবে। নিজের পছন্দের কাজ, সৃজনশীল কাজ যেমন- খেলা, গান শোনা, ছবি আঁকা বা হতে পারে কারুশিল্প নিয়ে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম
অত্যধিক চাপ থাকলে ঘুমের সমস্যা হয়। পাশাপাশি প্রচুর কাজের চাপে যথাযথ ঘুমের সুযোগ মেলে না। কিন্তু একজন সুস্থ্য স্বাভাবিক মানুষের সাত থেকে আট ঘণ্টার টানা ঘুম খুব জরুরি। ভাল করে ঘুম মানসিক ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।