ছোলা প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার। এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক ধরণে উপাদান। এসব উপাদান শরীরের কোষ্ঠ্যিকাঠিন্য দূর করার পাশাপাশি আরও অনেক ধরণের ঘাটতি পূরণ করে। সঠিক পদ্ধতিতে ছোলা খেলে শরীরের নানান সমস্যা দূর করবে। চলুন জেনে নেই ছোলা কেন খাবেন-
- ছোলাতে আছে প্রচুর ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটিয়ে কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা কমায়। এমনকি শরীরে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান বের করে দিতে সাহায্য করে।
- ছোলার প্রোটিন দেহকে করে দৃঢ়, শক্তিশালী, হাড়কে করে মজবুত, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এর ভূমিকা অপরিহার্য।
- নিয়মিত ছোলা খেলে ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকে। ছোলায় প্রচুর আয়রন আছে। ফলে এটি দেহে লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন বাড়িয়ে রক্ত স্বল্পতার সমস্যা প্রতিরোধ করে।
- কোনো খাবার খাওয়ার পরে রক্তের শর্করা যত দ্রুত বৃদ্ধি পায় তার পরিমাপ করা হয় ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’য়ের মাধ্যমে। ছোলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম অর্থাৎ এটি রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ায়। ছোলার আঁশ রক্তে উপস্থিত গ্লুকোজের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা তাদের খাদ্যতালিকায় ছোলা রাখতে পারেন।
- কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করতে পারে ছোলা। এতে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার মোট কোলেস্টেরল এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে পারে। ফলে ছোলা খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
- এক কাপ ছোলাতে ৪.৭ মি.লি. গ্রাম লৌহ, ২.১ মি.গ্রা. ভিটামিন সি পাওয়া যায়। যা দেহে লৌহের ঘাটতি পূরণ ও শোষণে সহায়তা করে।
- ছোলা একটি এটি কম ক্যালরিযুক্ত খাবার। তাই এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখতে পারে।
- ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার রয়েছে ছোলায়। এসব উপাদান হাড়ের সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। তবে ফাইটেট নামক জিনিসগুলো থেকে মুক্তি পেতে প্রথমে ছোলা ভিজিয়ে রাখুন। ফাইটেট শরীরে ছোলার ক্যালসিয়াম শোষণ করতে বাধা দেয়।
- গর্ভবতী নারীদের জন্য ছোলা বয়ে আনবে সুফল। মায়ের পেটে থাকাকালীন সময় থেকেই শিশুর গঠনের জন্য আমিষ অপরিহার্য।
তবে ছোলা আমরা যেভাবে তেল, মশলা দিয়ে রান্না করি সেটি স্বাস্থ্যসম্মত নয়। ছোলা কাঁচা অথবা সেদ্ধ করে খাওয়া হলে সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়।