বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমতে থাকে। তাই এ সময় শরীরের বাড়তি যত্ন নিতে হয়। যেন বার্ধক্যকালীন রোগবালাই থেকে দূরে থাকা যায়। চিকিৎসকরা বলছেন, এমন কয়েকটি পানীয় আছে যেগুলো নিয়মিত খেতে পারলে উপকার পাওয়া যাবে। চলুন জেনে নিই সেগুলো কী-
গাজরের রস
প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ গাজরে রয়েছে উপকারী উপাদান লুটেইন। যা চোখের যত্ন নেয়। বয়স বাড়লে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যাওয়া, চোখ থেকে পানি পড়া, ছানি পড়া, স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। গাজর চোখ এবং মস্তিষ্কের বিভিন্ন সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে। গবেষণা জানাচ্ছে, গাজরের বিটা ক্যারোটিন উপাদান ক্যানসারের ঝুঁকিও কমায়।
বিটের রস
বিটকে বলা হয় সুপারফুড। এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমতে থাকে। রোগের সঙ্গে লড়াই করতে বিটের রস দারুণ কার্যকরী। বিটে জিংক, আয়রন, আয়োডিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, নাইট্রেট, ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-৬সহ প্রচুর পরিমাণে আঁশ রয়েছে।
রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। তাই এই বয়সে বিটের রস হতে পারে আপনার জন্য একটি আদর্শ খাবার।
ডালিমের রস
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ডালিমের রস ব্যবহৃত হয়ে আসছে বহু বছর ধরে। ডালিমের রস কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ডালিম অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও পলিফেনল সমৃদ্ধ। এর রস ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং রক্তচাপের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। বয়স পঞ্চাশ পার হলে অনেকে হজমের সমস্যায় ভোগেন। ডালিম দ্রুত হজমের সমস্যা কমাতে পারে।
স্ট্রবেরির রস
স্ট্রবেরিতে রয়েছে পটাসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম ও কম মাত্রার সোডিয়াম। পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম ভাসোডিলেটর হিসাবে কাজ করে, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এটি শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত প্রবাহ সহজ করে। এবং প্রত্যেকটি ফাংশনের কাজ সক্রিয় করতে সাহায্য করে। যাদের বয়স ৫০ পার হয়েছে তারা এই ফলের রস নিয়মিত খেতে পারেন।
অ্যাভোকাডোর রস
বয়স বাড়তে থাকলে ঘুমের সমস্যাও বাড়ে। অ্যাভোকাডোতে যে ম্যাগনেসিয়াম থাকে তা শরীরের ক্লান্তি দূর করে এবং ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি রয়েছে। আর ভিটামিন বি শরীরকে রোগ জীবাণু থেকে রক্ষা করে। এছাড়া অ্যাভোকাডোতে থাকা ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
এর রস রক্তচাপ কমাতে, ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে এবং ধমনী ফলকের ধীর বিকাশ ঘটাতে কাজ করে। তাছাড়া অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের সম্ভাবনা হ্রাস করতে অ্যাভোকাডোর তুলনা নেই।
সূত্র: আনন্দবাজার