সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের বয়স বাড়বেই। বার্ধক্য একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যা থামানো যায় না। কিন্তু সুস্থ, সুন্দরভাবে কে না বাঁচতে চায়। তারুণ্য ধরে রাখতে চাওয়া মানুষের আদিম আকাঙ্ক্ষা। আর তারুণ্য ধরে রাখতে বাজার চলতি বিভিন্ন পণ্যের উপর অনেকেই ভরসা রাখেন। তবে এভাবে বাজার চলতি প্রসাদনি বাদ দিয়ে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন কিছু পানীয়, যেগুলো ৪০-এর পরও তারুণ্য ধরে রাখবে।
গ্রিন টি
সকালটা এক কাপ গ্রিন টিকে সঙ্গী করে শুরু করতে পারলে আপনার অনেক ত্বকের ও শারীরিক সমস্যায় পড়তেই হবে না। গ্রিন টিতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরকে ভিতর থেকে সতেজ রাখে ও বলিরেখা পড়তে দেয় না। শরীর চাঙা রাখে। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, ক্যানসার প্রতিরোধ করে, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এ ছাড়া গ্রিন টিতে ক্যাটেচিন নামের একটি উপাদান থাকে, যা ভিটামিন ই এবং সি–এর থেকেও বেশি শক্তিশালী। গ্রিন টি স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটায় এবং তথ্য সংরক্ষণে সাহায্য করে।
দই
দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম থাকে, যা ত্বককে মসৃণ এবং উজ্জ্বল রাখে। দইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বকের টান টান ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে।
দুধ
৪০ পেরিয়ে গেলেও ডায়েটে রাখুন দুধ। এতে আছে উচ্চ পরিমাণ প্রোটিন, ক্যালসিয়াম। যা শরীরের পেশিতে শক্তি বাড়ায় ও হাড়ের ক্ষয় থেকে মুক্তি মেলে। এ ছাড়াও দুধে থাকা ইলেক্ট্রলাইটস শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখে। খান। তবে ল্যাকটোজ় ইনটলারেন্স থাকলে না খাওয়াই ভাল।
আঙুরের রস
আঙুর ত্বকের সমস্যার সমাধান করতে এবং ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখতে কাজ করে। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, আঙুরে রয়েছে রেসভারেট্রল। এটি খুব সাধারণ অ্যাকনের ওষুধ বেন্জল পারঅক্সাইডের সঙ্গে মিলে ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে মোকাবিলা করে। ব্রণ হওয়ার জন্য এই ব্যাকটেরিয়াই দায়ী।। আঙুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম আছে যা ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। ত্বকে দাগছোপ, বলিরেখা পড়তে দেয় না। পাশাপাশি সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি থেকেও ত্বকে বাঁচায়। তাই আঙুর রস করে খেয়ে নিতে পারেন।
লেবু-মধুর পানি
প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস লেবু-মধুর পানি খেলে ওজন কমানো যায়। শুধু ওজন কমানো নয় আবার এই পানীয় শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন বার করতেও সক্ষম। লেবুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের বলিরেখা, ত্বকের ক্ষয়ক্ষতি কমায় এবং ব্যাকটেরিয়া দূর করে।
রেড ওয়াইন
রেড ওয়াইনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েডস, যা বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি, কার্সিনোজেনিক এবং ভাইরাস ঘটিত রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। রেড ওয়াইনে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা শরীর সতেজ রাখবে। তবে পরিমিতই খেতে হবে।