শিশু যাতে দ্রুত হাটা শেখে সেজন্যে অনেক অভিবাকরাই শিশুকে বেবি ওয়াকার কিনে দেয়। শিশুরা ওয়াকারের সাহায্যে পুরো ঘরময় ঘুরে বেড়ায়। দেখতে মন্দ লাগে না। ওয়াকার দিয়ে অনেকটা নিশ্চিন্তও থাকে মায়েরা। তখন আর শিশুকে ঘরে একা রেখে রান্না ঘরে তাকে কাজ করতে হয় না। তার সন্তান তার সঙ্গে সঙ্গেই ওয়াকারের সাহায্যে ঘুরে বেড়ায়।
কিন্তু বেবি ওয়াকার ব্যবহারে বিশেষজ্ঞদের ভিন্ন মত আছে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, বেবি ওয়াকার ব্যবহার করে শিশুকে তাড়াতাড়ি হাঁটা শেখানোর দরকার নেই। তার কারণ হিসেবে তারা বলেন, ওয়াকার ব্যবহারে বাচ্চার মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বাচ্চা যেহেতু তখনও পুরোপুরি হাটার জন্য প্রস্তুত থাকে না তাই ওয়াকারে ভারসাম্য রাখা বাচ্চার জন্য কষ্টকর। তখন ওয়াকারে বাচ্চারা সামনে, পেছনে অথবা ডান-বাঁয়ে ঝুঁকে হাঁটাহাঁটি করে। এতে মেরুদন্ডে চাপ পড়ে। যার কারণে বাচ্চার মেরুদন্ড বাঁকা হয়ে যেতে পারে।
আবার অনেক সময় অসাবধানতায় বেবি ওয়াকার থেকে গড়িয়ে বা উল্টে নিচে পড়ে মারাত্মক আঘাত পেতে পারে। আর তাছাড়া যেসব শিশু ওয়াকার ব্যবহার করে তাদের শারীরিক ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষমতা কমতে থাকে। যদি শিশু নিজে নিজে হাটার চেষ্টা করে তবে সে নিজে নিজেই দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ফলে শরীরের ভারসাম্য সে নিজে থেকেই রাখতে পারে। অন্য কিছুর সাহায্যের প্রয়োজন হয় না।
ওয়াকার ব্যবহার করে বাচ্চারা হাঁটার চেষ্টা করলে বাচ্চাদের হাঁটার ভঙ্গি ও গতি স্বাভাবিক হয় না। অনেক সময় পা বাঁকা হয়। তাই শিশুকে ওয়াকার ব্যবহার না করায় ভালো।