আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় কিংবা বাইরের ধুলোবালিতে থাকলে প্রায়ই শুকনো কাশি হয়। অনেক সময় কাশি বেশিদিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। সারাদিনই খুক খুক করে কাশি হচ্ছে। ওষুধ খেয়েও যেন কাজ হচ্ছে না। ঘরোয়া টোটকাও চেষ্টা করছেন কাশি সারিয়ে তোলার। কোনোভাবেই যেন কাজ হচ্ছে না। এর পেছনে অন্যকারণও থাকতে পারে। যেমন কাশি হলে কিছু খাবার গ্রহণে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এসব খাবারের কারণেও কাশি বেড়ে যেতে পারে এবং কোনোভাবেই কমতে চায় না। তাই কাশি হলে সবার আগে খাওয়া দাওয়াতে সচেতনা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। চলুন জেনে নেই, কাশি হলে কোন কোন খাবার ভুলেও খাওয়া যাবে না।
দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার
দুধ বা দুধ দিয়ে তৈরি খাবার শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, প্রোটিনসহ নানা পুষ্টি উপাদানে ভরপুর থাকে এই খাবারটি। যেকোনো অসুস্থতায় দুধ খেতে বারণ না থাকলেও কাশির সময় এটি এড়িয়ে চলাই ভালো। বিশেষজ্ঞরা জানান, দুগ্ধজাত খাবার খেলে মিউকাস বা কফ বেশি পরিমাণে তৈরি হয়। এতে কাশি বেড়ে যায়। তাই দুধ বা দুধ থেকে তৈরি ছানা, পনির, দই খাওয়া বাদ দিতে হবে।
ঝাল-মশলাদার খাবার
কাশি হলে বা বুকে কফ জমলে মশলাদার খাবার খাওয়া উচিত নয়।ঝাল-মশলাদার খাবারে থাকে ক্যাপসাইসিন নামক একটি উপাদান। এই উপাদান ফুসফুস এবং শ্বাসনালীর ইরিটেশন বাড়ায়। যার ফলে কাশির প্রকোপ আরও বেড়ে যায়।
প্রসেসড খাবার
যারা জাঙ্কফুড খেতে পছন্দ করেন, বিশেষ করে হ্যাম, বার্গারের মতো খাবার খেতে পছন্দ করেন তারা কাশি হলে এসব খাবার বাদ দিন। বিশেষ করে প্রসেসড করা কোনো খাবার খাওয়া যাবে না। এসব খাবারে কিছু রাসায়নিক মেশানো থাকে। যা শরীরের বড় ক্ষতি করে। কাশির সময় এই ধরনের খাবার খেলে আরও বিপদ হবে। বিশেষজ্ঞরা স্বাভাবিক সময়েও প্রসেসড খাবার খেতে বারণ করেছেন।
মিষ্টি খাওয়া যাবে না
প্রতিদিন একটু হলেও মিষ্টি খাচ্ছেন অনেকে। এতে শরীরে জটিল অসুখ বাধতে পারে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যেতে পারে। তাই ভুলেও কাশি হলে মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাবেন না। শরীরে প্রদাহ বেড়ে যাবে এবং কফ বেশি পরিমাণে তৈরি হবে। কাশির পরিমাণও বাড়বে। তাই কাশি হলেই মিষ্টি পদ থেকে দূরে থাকুন।