মাঙ্কি মাইন্ড মানে অস্থির মন। আপনার কি মন অস্থির? যদি তাই হয় তবে আপনার মাঙ্কি মাইন্ড আছে। কোনো কাজে মন বসে না, এক কাজ বেশি সময় ভালো লাগে না। মনটা শুধু অস্থির হয়ে থাকে। কখনও এখানে ছুটে তো কখনও ওখানে। এমন অস্থির মন আর বিক্ষিপ্ত চিন্তাকেই বলে মাঙ্কি মাইন্ড। আপনি যদি এমনই অস্থিরতায় ভোগেন তবে মনকে স্থির করার কৌশল জেনে নিন। কীভাবে নিজেকে আর নিজের চিন্তাকে আয়ত্ত করবেন তার কৌশল জানুন।
বিক্ষিপ্ত চিন্তা থেকে মুক্তি
বিরামহীনভাবে চিন্তা করাকেই বলে বিক্ষিপ্ত চিন্তা। যা আপনাকে ক্লান্ত করে দিচ্ছে। কোনো এক চিন্তায় স্থির থাকতে পারেন না। তাই কোনো সিদ্ধান্তও নেওয়া কষ্টকর। এই ধরণের মাঙ্কি মাইন্ড থেকে রেহাই পেতে মেডিটেশনের চর্চা করুন। প্রতিদিন কয়েক মিনিটের জন্য স্থির হয়ে বসে নিজের চিন্তাকে পর্যবেক্ষণ করুন। নিজেকে দোষ দেওয়া বন্ধ করুন। অন্যের দোষ খোজাও বন্ধ করুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই চিন্তা স্থির হয়ে যাবে।
অস্থিরতা থেকে মুক্তি
আপনার মধ্যে উদ্বিগ্নতা আর অস্থিরতা আছে? মাঙ্কি মাইন্ডের এটি একটি অন্যতম বৈশিষ্ট। এই অভ্যাসের কারণে আপনার ছোট যেকোনো কিছুতেই সহজেই মন খারাপ হতে পারে। আবার যেকোনো কিছুর জন্য নিজেকে দোষারোপ করতে পারেন। এমন চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসুন। প্রতিদিন শরীর চর্চা করুন। বুকভরে শ্বাস নিন। মাংসপেশিকে বিশ্রাম দিন। নিয়মিত মেডিটেশন আপনাকে শান্ত করবে।
অন্যমনস্কতা থেকে মুক্তি
নিজের মনোযোগ এক জায়গায় বেশি সময় ধরে রাখতে পারছেন না? সহজেই অন্যমনস্ক হয়ে যাচ্ছেন? এমন উপসর্গ দেখা দিলে নিজেকে সংযত করুন। কোন কোন কাজ বেশি জরুরি তা ঠিক করুন। দিনের শুরুতে জরুরি কাজগুলো আগে করুন। কাজ করার জন্য় সময় ঠিক করে নিন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করার চেষ্টা করুন। ধীরে ধীরে অন্যমনস্কতা দূর হয়ে যাবে।
মানসিক ক্লান্তি থেকে মুক্তি
অতিরিক্ত চিন্তা থেকে মানসিক ক্লান্তি হয়। এটি মাঙ্কি মাইন্ডের আরও একটি লক্ষণ। অতিরিক্ত চিন্তা করলে একসময় নিজেকে অসহায় মনে হবে। তাই অতিরিক্ত চিন্তা করা বন্ধ করুন। পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। সেই সঙ্গে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। তবেই মন হবে চাঙা।
ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি
ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তা নিয়ে বসে থাকলে বর্তমানের কাজ ভালো হয় না। বর্তমানের কাজে মন দিতে হবে। ভবিষ্যত এমনিতেই সুন্দর হবে। এর জন্য় নিজের আত্মবিশ্বাস প্রয়োজন। ভবিষ্যত নিয়ে ভালো ও খারাপ চিন্তা না করে বর্তমানকে প্রাধান্য দিন। মেডিটেশন শুরু করুন। আশপাশের পরিস্থিতিতে মনোযোগ দিন। স্থির হোন।
নিদ্রাহীন থেকে মুক্তি
আপনি কি সহজে ঘুমাতে পারেন না? মাঙ্কি মাইন্ড হলে সহজে ঘুমানো যায় না। বিছানায় গেলেই নানা চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। এপাশ-ওপাশ করেই সারারাত কেটে যায়। আপনি মানসিক ও শারীরিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পরেন। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে ঘুমের জন্য নির্দিষ্ট রুটিন করে নিন। ঘুমের সময় ঘর অন্ধকার করে নিন। মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকুন। টিভি দেখা থেকে বিরত থাকুন। প্রতিদিন একই সময়ে বিছানায় ঘুমাতে যাবেন। দেখবেন এটাই অভ্যাস হয়ে গেছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া