শিশুকে সুস্থ রাখতে, পরিষ্কার রাখতে সাধারণত ডায়াপার পরিয়ে রাখা হয়। বিশেষ করে শীতের সময়টাতে শিশু সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয় বেশি। এ সময় ডায়াপার পরিয়ে রাখলে শিশুর ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ভয় কম থাকে। তবে অনেকেই আছেন একই ডায়াপার দীর্ঘ সময় শিশুকে পরিয়ে রাখা হয়। তখন শিশুর ডায়াপারের নিচে ভেজা থাকে। যেখানে শিশুকে শুকনো রাখার কথা সেখানে তাকে ভেজা রাখেন তখন শিশু নানা সমস্যায় আক্রান্ত হয়। যেমন-
- শিশুর কোমল সংবেদনশীল ত্বক যখন বেশ কিছু সময় ধরে অথবা বারবার প্রস্রাব ও পায়খানার সংস্পর্শে আসে, তখন আর্দ্রতার কারণে ত্বকের তৈলাক্ত প্রাকৃতিক স্তরের প্রতিরোধ ভেঙে পড়ে। তখন শিশুর ত্বকে ফুসকড়ির মতো সমস্যা দেখা দেয়।
- দীর্ঘ সময় ডায়াপার পরিয়ে রাখলে ডায়াপার অঞ্চলে প্রস্রাব এবং মল দীর্ঘ সময় ধরে ত্বকে লেগে থাকে। যার কারণে শ্রোণিদেশ আর্দ্র থাকে। তা থেকে ত্বকে জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি ঘাও হতে পারে।
- ডায়াপার বেশি সময় ধরে পরে থাকলে সেই জায়গাটা ভেজা বা নোংরা থাকে। আর ভেজা, স্যাঁতসেঁতে অবস্থা ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির জন্য একটি আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে, যা UTI-এর ঝুঁকি বাড়ায়। যেহেতু মেয়েদের মলদ্বার এবং মূত্রনালির অবস্থান কাছাকাছি হওয়ার কারণে মেয়েদের ক্ষেত্রে ইউটিআইয়ের প্রবণতা বেশি। তবে ছেলেশিশুরও এ সমস্যা হতে পারে।
- অনেক সময় ধরে ডায়াপার পরিয়ে রাখলে শিশুর অ্যালার্জির ঝুঁকি বাড়ে।
- প্রস্রাব থেকে নির্গত অ্যামোনিয়া ত্বকে জ্বালাপোড়া করতে পারে, যার ফলে অ্যামোনিয়া ডার্মাটাইটিস হয়। আপনি যদি আপনার শিশুকে দীর্ঘ সময় ধরে ডায়াপার পরিয়ে রাখেন, সেখান থেকে শ্রোণিদেশে এ ধরনের সমস্যা হয়। এর ফলে লালচে ভাব ও জ্বালাপোড়া দেখা দেয়।