মৌসুমী ফল হিসেবে আমড়া বেশ পুষ্টিকর। পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই ফল খেতে টক স্বাদের বলে বেশ জনপ্রিয়। একইসঙ্গে এটি সহজলভ্যও বটে। এটি কাঁচা খাওয়ার পাশাপাশি সুস্বাদু আচার, চাটনি ও জেলি তৈরি করা যায়। যাদের খাবার রুচি কম তাদের রুচি বাড়াতে খেতে পারেন এই ফল। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমড়া রোগ প্রতিরোধ প্রতিরোধ করে। এছাড়া স্কার্ভি রোগ এড়াতে সাহায্য করে মৌসুমী এই ফল।
- ১০০ গ্রাম আমড়া প্রায় ৩৯ শতাংশ ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করতে পারে। আমড়ার ভিটামিন সি ফ্রি র্যাডিকালের ক্ষতি এবং স্কার্ভি রোগ এড়াতে বেশ কার্যকরী। রুচি ফেরায়, ক্ষুধা তৈরি করতে সাহায্য করে।
- আমড়ায় প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এর মধ্যে ভিটামিন সি রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
- প্রতি ১০০ গ্রাম আমড়ায় আয়রন পাওয়া যায় ৩.৯ মিলিগ্রাম যা, রক্তস্বল্পতা দূর করতে বেশ প্রয়োজনীয়।
- আমড়া ত্বকের জন্যও উপকারী। এটি কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে। কোলাজেন ত্বক, লিগামেন্ট, কার্টিলেজকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
- আমড়ার ফাইবার বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
- প্রতি ১০০ গ্রাম আমড়ায় ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় ৫৫ মিলিগ্রাম। তাই নিয়মিত এটি খেলে তা আপনার প্রতিদিনের ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে পারে। ফলে হাড়ের যে কোনো রোগ দূর করা ছাড়াও হাড়কে শক্তিশালী রাখতেও সাহায্য করে এটি।
- আমড়ায় পাওয়া যায় থায়ামিন। থায়ামিন হলো গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনগুলোর মধ্যে একটি। এটি শরীরে অনেকগুলো কার্য সম্পাদন করে। এর মধ্যে একটি হলো পেশী সংকোচন এবং স্নায়ু সংকেত সঞ্চালনে সহায়তা করার ক্ষমতা।
- আমড়ায় ক্যালসিয়ামের পরিমাণ শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ যা, প্রতিদিনের ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে আমড়া খাওয়া যেতে পারে।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় উপাদান থাকায় বার্ধক্যের গতি ধীর করে।
- এছাড়াও ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে আমড়ার মৌসুমে অন্তত একটি আমড়া খেতে পারেন। এটি সর্দি, কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় রোগের জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করে।