বয়স হলেই অসুখ শরীরকে ঘিরে ধরে। কিছু রোগ নারীদের যেমন বেশি হয়, তেমনই কিছু রোগ পুরুষদেরও বেশি হয়। বলা যায়, কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা নারীদের তুলনায় পুরুষদের বেশি হয়। পুরুষরা সারাক্ষণই বাইরে কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত থাকেন। তাই হয়তো এসব রোগকে অবহেলা করেন। অথচ আগ থেকে সচেতন হলে পুরুষরা এসব রোগ থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারে। চলুন জেনে নেই, পুরুষদের কোন রোগগুলো বেশি হয়।
কার্ডিওভাসকুলার রোগ
সিস্টোলিক রক্তচাপ পুরুষদের বেশি হয়। পুরুষদের উচ্চ রক্তচাপের সবচেয়ে বড় এটি। তাই পুরুষদের কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। নারীদের তুলনায় পুরুষরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।
ত্বকের ক্যানসার
ত্বকের ক্যানসারেও পুরুষরা বেশি আক্রান্ত হয়। সাধারণত ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের মধ্যে ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি থাকে। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, সূর্যের আলোতে অত্যধিক এক্সপোজার এবং কোনো সতর্কতা অবলম্বন না করার কারণে পুরুষরা ত্বকের ক্যানসারে ভোগে।
উচ্চ রক্তচাপ
অধিকাংশ পুরুষই উচ্চ রক্তচাপের রোগে আক্রান্ত। যার কারণে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের কারণে অধিকাংশ পুরুষের মৃত্যু হয়। বিশেষজ্ঞরা জানান, নারীদের শরীরে স্বাভাবিকভাবে বেশি ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) থাকে। নারী হরমোন ইস্ট্রোজেন নারীদের হৃদরোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়। তাই পুরুষরা নারীদের তুলনায় এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।
প্রোস্টেট ক্যানসার
প্রোস্টেট হচ্ছে পুরুষ প্রজনন ব্যবস্থার এক্সোক্রাইন গ্রন্থি। এই গ্রন্থিটি মূত্রাশয়ের ঠিক নীচে এবং মলদ্বারের ঠিক সামনে অবস্থিত। প্রোস্টেট ক্যান্সারেও পুরুষরা বেশি ভোগে। প্রোস্টেটে ক্যানসার কোষ তৈরি হয়। প্রথম দিকে লক্ষণ দেখা না গেলেও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। এই রোগটি ৪৫ থেকে ৫০ বছর বয়সী পুরুষদের বেশি হয়। তাই যেসব পুরুষের মধ্যে স্থূলতা রয়েছে কিংবা অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করে তাদের প্রোস্টেট ক্যানসার হতে পারে।
ফুসফুসের রোগ
অসংখ্য পুরুষ ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। ফুসফুসের কোষগুলো বিকাশিত হয়ে টিউমার তৈরি হয়। এরপর তা ক্যানসারের দিকে মোড় নেয়। এর অন্যতম কারণ ধূমপান। যা ফুসফুসকে ধ্বংস করে। এছাড়াও পুরুষরা বাইরে কাজ করায় দূষণের শিকার হয়। যা ফুসফুসের ক্ষতি করে। তাই পুরুষরা বেশি ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হয়।