ডাবের পানির অসংখ্য গুণের কথা আমরা জানি। গরমে শরীরকে হাইড্রেট রাখা থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে ডাবের পানি। এছাড়া এতে থাকা ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, কপার এবং অ্যামিনো এসিড শরীর সুস্থ রাখতে দারুণ কার্যকরী। তবে কখনো কখনো এই পানীয়ই শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে। কিছু কিছু রোগ শরীরে থাকলে এই পানীয় খাওয়া মানা। যেমন-
কিডনির সমস্যা থাকলে
ডাবের পানি কিডনিকে সুরক্ষিত রাখে। তবে আপনি যদি কিডনি রোগী হন সেক্ষেত্রে এই পানীয় মোটেও নিরাপদ নয়। কারণ ডাবের পানিতে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি। তাই এই পানীয় কিডনি রোগীদের বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।
ডায়াবেটিস থাকলে
ডাবের পানিতে কার্বোহাইড্রেট ও ক্যালরি বেশি। যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। রক্তে শর্করা খুব বেশি হলে এটি বিভিন্ন জটিলতা তৈরি করতে পারে। তাই আর ডায়াবেটিস থাকলে ডাবের পানি এড়িয়ে চলাই উচিত। এমনকি প্রতিদিন ডাবের পানি খাওয়াও ঠিক নয়।
স্থূলতা থাকলে
যারা ওজন কমাতে চান তাদের ডাবের পানি বেশি না খাওয়াই ভালো। কারণ, ডাবের পানি শরীরে ক্যালরির মাত্রা বাড়ায়। অন্যান্য স্বাস্থ্যকরা পানীয় বা ফলের রসের তুলনায় ডাবের পানিতে চিনির পরিমাণ কম থাকে।
অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে
ডাবের পানিতে ‘ট্রোপোমায়োসিন’ নামক একধরনের প্রোটিন থাকে। অতিরিক্ত ডাবের পানি খেলে সেখান থেকে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর যাঁদের অ্যালার্জি আছে, তাঁদের ডাবের পানি না খাওয়াই ভালো।
হাই ব্লাড প্রেসার থাকলে
ডাবের পানিতে থাকা সোডিয়াম শরীরে রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তারা সপ্তাহে একদিনের বেশি ডাবের পানি পান করবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডাবের পানি পান করা ভালো।
কিডনি ও হৃদপিণ্ডের সমস্যা থাকেল
ডাবের পানি পান করার অভ্যাসে শরীরে অতিরিক্ত পটাশিয়াম জমার সুযোগ পায়। যা কিডনি ও হৃদপিণ্ড দুটোই অকার্যকর করে দিতে পারে। তাই যাদের দেহে প্রচুর পটাশিয়াম আছে এবং বের হয় না, তাদের ডাবের পানি পান করা ঠিক নয়। এর ফলে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এবং মৃত্যু হতে পারে।