রান্নায় স্বাদ বাড়াতে জায়ফলের তুলনা হয় না। এই মসলার নিজস্ব স্বাদ আর গন্ধ রয়েছে। নবাবি আমল থেকে এই মসলা উপমহাদেশে ব্যবহৃত হচ্ছে। সুগন্ধি এ মসলা শুধু রান্নায় স্বাদ বাড়ায় না, এর নানা ধরনের স্বাস্থ্যগুণও আছে।
জায়ফলে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যৌগগুলো মস্তিষ্ক ও হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও অবদান রাখতে পারে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এক চিমটি জায়ফল অন্তর্ভুক্ত করলে নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যাবে। যেমন—
হজমের উন্নতি
জায়ফল হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এই মসলা পরিপাকতণ্ত্রকে শক্তিশালী করে তোলে। এতে থাকা ইউজেনলের মত যৌগ গ্যাস, বদহজম সারাতে সাহায্য করে। শরীরের ফোলা ভাব সারাতে পারে। জায়ফল তার কার্মিনেটিভ বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এই মসলা পাচনতন্ত্রের জন্যও উপকারী। এটি পেট ফাঁপা কমাতে আর অস্বস্তি কমাতে পারে।
ব্যথা কমায়
জায়ফলে রয়েছে মাইরিস্টিসিন ও এলিমিসিনের মত যৌগ। এটি হালকা ব্যথা সারাতে পারে। এটিতে ব্যথানাশক ও প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য় রয়েছে। এই যৌগগুলো পেশি ও অস্থিসন্ধির ব্যথা কমাতে কার্যকরী। দাঁতের ব্যথার জন্য জায়ফল খুবই উপকারী। জায়ফলের তেল ব্যথার জন্য খুবই ভালো।
ভালো ঘুম
জায়ফল প্রাকৃতিকভাবে ঘুমের সাহায্য করে। ঘুমের আগে গরম দুধে অল্প পরিমাণে জায়ফল মিশিয়ে খেলে ঘুম ভালো হবে।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য
কিছু গবেষণা বলছে, জায়ফল স্মৃতি শক্তি বাড়ায়। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মস্তিস্কের কোষগুলোকে ফ্রি ব়্যাডিকেল দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে।
অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি
জায়ফলের মধ্যে কোয়ারসেটিনের মত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরের জ্বালা কমাতে পারে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে পারে। এর অ্য়ান্টি -ইনফ্ল্যামেটারি বৈশিষ্ট্য প্রদাহ কমাতে পারে।
মুখের স্বাস্থ্য
জায়ফলের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য প্রায়ই টুথপেস্ট ও মাউথওয়াশের মতো মুখের যত্নের পণ্যগুলোতে ব্যবহৃত হয়। এটি মুখের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য
জায়ফল রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং রক্তচাপ কমিয়ে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে।