বর্ষা শুরুর আগেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। যা আতঙ্ক বাড়াচ্ছে জনমনে। জ্বর হলেই এখন ডেঙ্গুর ভয় করছেন। মৌসুম বদলের সঙ্গে সঙ্গে জ্বর ঠান্ডা লেগেই থাকে। এরমধ্যে ডেঙ্গি মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বরও হয়। কিন্তু কোনটি সাধারণ জ্বর আর কোনটি ডেঙ্গু জ্বর তা বোঝা দায়। কারণ এখন প্রায় সব জ্বরেই লক্ষণগুলোর মধ্যে মিল থাকে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গুর মৌসুমে জ্বরকে অবহেলা করা যাবে না। বরং জ্বরের সঙ্গে আরও কিছু লক্ষণ রয়েছে যা দেখলে দ্রুতই পরীক্ষা করে নিতে হবে এবং উপযুক্ত চিকিত্সা নিতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বর হচ্ছে একটি ভাইরাল সংক্রমণ। সংক্রমিত মশার কামড়ের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে ডেঙ্গু জ্বর। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে এই জ্বর শনাক্ত করতে হয়। এই জ্বরের সঙ্গে আরও কিছু উপসর্গ থাকে। যা দেখে প্রাথমিক পর্যায়ে ধারণা করা যায় রোগীর ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে। এরপর চিকিত্সক ডেঙ্গু জ্বরের নিশ্চয়তার জন্য় রক্ত পরীক্ষা দেন এবং রিপোর্ট দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন।
সাধারণত আমরা জ্বর এলেই বিচলিত হয়ে যাই। কিন্তু জ্বরের সঙ্গে আরও কিছু উপসর্গ আছে কিনা তা দেখে নিতে হয়। যা অনেকেরই অজানা। চলুন ডেঙ্গু হলে জ্বরের সঙ্গে আরও কী কী উপসর্গ থাকে তা জেনে নেই।
অন্তত ৭ দিন তীব্র জ্বর থাকবে। সেই সঙ্গে প্রচণ্ড মাথা ব্যথায় যন্ত্রণা হবে, গায়ে, হাতে-পায়ে ব্যথা হবে, শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে, শরীরে লালচে ফুসকুড়ি দেখা যাবে, চোখের পেছনের ব্যথা ও যন্ত্রণা অনুভব হবে এবং শরীরের কোনও অংশ থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে। এসব উপসর্গ থাকলেই দ্রুত ডেঙ্গু পরীক্ষা করে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে বিশেষজ্ঞরা আরও পরামর্শ দেন, দুদিনের বেশি উচ্চমাত্রায় জ্বর থাকলে এবং উপরের অন্যান্য উপসর্গ না থাকলেও ডেঙ্গু টেস্ট করে নিতে হবে। জ্বরের প্রথম ৫ দিনের মধ্যে এনএস-১ এলাইজা ও জ্বর যদি ৫ দিনের বেশি থাকে, তাহলে আইজিএম এলাইজা পরীক্ষা করাতে হবে। রোগীর প্লাটিলেট কাউন্ট ১০ হাজারের নিচে গেলেই দ্রুত প্লাটিলেট দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বর হলে প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। যেমন - ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের জুস এবং খাবার স্যালাইন গ্রহণ করা যেতে পারে। এমন নয় যে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে, পানি জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: জিনিউজ২৪