ভুলে যাওয়াটা সাধারণ সমস্যা। অনেকেই এখন অনেক কিছু ভুলে যান। ব্যস্তজীবনে সবকিছু মনে রাখাটাও কঠিন। গুরুত্বপূর্ণ কাজও অনেকে ভুলে যান। আর অতীতের স্মৃতি মনে রাখাতো অনেক কষ্টের ব্যাপার।
সুখময় স্মৃতি মনে রাখেন না অনেকেই। অনেকে আবার দু:খের স্মৃতিই বয়ে বেড়ান। আবার সুখ দু:খের সব মুহূর্ত স্মৃতি থেকে হারিয়ে যায়। বয়সের কারণে এমন সমস্যা হতে পারে। আবার শারীরিক জটিলতা থাকলে ভুলে যাওয়া বা স্মৃতিভ্রংশের সমস্যা হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, শারীরিক সমস্যার কারণে মানুষের স্মৃতি থেকে মুহূর্তগুলো হারিয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি থাকলে স্মৃতিভ্রংশের সমস্যা হয়।
ভিটামিন ডি শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি মস্তিষ্কের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যার অভাব মস্তিষ্ককে প্রভাবিত হয়। স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে যায়। যেকোনো বিষয় মনে রাখতে অসুবিধা হয়।
ভিটামিন ডি হাড়ের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। তবে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে এটি বেশি প্রয়োজন। মস্তিষ্কের কোষকে শক্তিশালী করতে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে দিতে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি প্রয়োজন। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াতে পারে।
শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি কিছু উপসর্গের মাধ্যমে প্রকাশ পাবে। ক্লান্তি বোধ, হাড়ের ব্যথা, পেশী দুর্বলতা, বিষণ্ণতা, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়াসহ বেশকিছু উপসর্গ দেখা দেয়। এছাড়াও ভিটামিন ডি-এর অভাবে শিশুদের রিকেট হতে পারে।
যেভাবে পাওয়া যাবে ভিটামিন ডি
প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ডি-এর উৎস হলো সূর্যের আলো। সকালের রোদে কিছুক্ষণ বসে থাকলে শরীর ভিটামিন ডি পায়। খাবারের মাধ্যমেও ভিটামিন ডি পাওয়া যাবে। যেমন_ ডিমের কুসুম, মাশরুম, মাছ দুধ এবং দুধের পণ্য নিয়মিত ডায়েট চার্টে রাখলে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ হয়।