ফাইবার বা আঁশযুক্ত ফল পেঁপে, খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি স্বাস্থ্যকরও। পেঁপে হজমে সাহায্য করার পাশাপাশি ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের জোগান দেয়। তবে পেঁপে স্বাস্থ্যকর হলেও খাওয়ার সময় বেশি কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। কারণ কিছু খাবার পেঁপের সঙ্গে খেলে উপকার তো হবেই না, তা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।
চা
চায়ে থাকা ট্যানিন ও ক্যাফেইন পেঁপেতে থাকা পাপেইন এনজাইমের সঙ্গে মিলে গোলযোগ দেখা দিতে পারে। দেখা দিতে পারে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল বা পরিপাকনালির সমস্যা। তাই পেঁপের সঙ্গে চা খাওয়া যাবে না।
কমলা
কমলা লেবু ও পাকা পেঁপে ভুলেও এক সঙ্গে খাবেন না। শরীরের জন্য এক সঙ্গে এই দুই ফল বিষ। ভয়ানক ক্ষতি হবে।
দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য
পেঁপেতে পাপেইন ও কাইমোপাপেইন নামক এনজাইম বিদ্যমান, যা দুধকে দই করে ফেলতে পারে। ফলে পেঁপের সঙ্গে দুধ বা দুগ্ধজাত কিছু খেলে হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে গ্যাস্ট্রিক, পেট ফোলা ভাব কিংবা পেটে অস্বস্তি দেখা দেয়।
প্রোটিন জাতীয় খাবার
প্রোটিন শরীরের জন্য অত্যন্ত দরকারি। দরকারী এই উপাদান কিন্তু পেঁপের সঙ্গে একেবারেই খাবেন না। তাতে পেটের গোলমাল দেখা দিতে পারে। কারণ পেঁপেতে এমন এনজাইম আছে, যা প্রোটিনকে ভেঙে দিতে পারে। তাই এর সঙ্গে উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার না মেশানোই ভালো।
লেবু
পেঁপের সঙ্গে ভুলেও লেবু খাবেন না। কারণ এই দু’টি ফল একসঙ্গে খেলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যেতে পারে। পেটের নানা সমস্যা হয়।
কাঁচা ও পাকা পেঁপে
পাকা পেঁপে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হলেও কাঁচা পেঁপেতে ল্যাটেক্সের পরিমাণ বেশি থাকে। কাঁচা পেঁপেতে বিদ্যমান ল্যাটেক্স গলা ও মুখে জ্বালাপোড়া ভাব তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে যাঁদের ল্যাটেক্স অ্যালার্জি আছে।
টমেটো এবং পেঁপে
এই দুটি খাবার আলাদা আলাদা ভাবে স্বাস্থ্যকর হলেও একসঙ্গে জোট বাঁধলেই বাঁধতে পারে বিপত্তি। স্যালাডের থালায় এই দু’টি অনেক সময় একসঙ্গে শোভা পায়। তবে শারীরিক কোনও অসুস্থতা এড়াতে এই দুটি জিনিস কখনওই একসঙ্গে খাবেন না।
আচারজাতীয় খাবার
আচারের মতো খাবারে বিদ্যমান প্রোবায়োটিক ও এনজাইমকে পেঁপেতে বিদ্যমান এনজাইম ভেঙে দেয়। তাই এ ধরনের খাবার পেঁপের সঙ্গে না খাওয়াই ভালো।
চর্বিযুক্ত খাবার
পেঁপে ও চর্বিযুক্ত খাবার মিশিয়ে খেলে পেট ফুলে যাওয়া বা বদহজমের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। ভাজা খাবার, চর্বিযুক্ত মাংস কিংবা ক্রিমযুক্ত সসের মতো খাবারগুলো হলো উচ্চ চর্বিযুক্ত। এর সঙ্গে পেঁপে মিশিয়ে খাওয়া মোটেই উচিত হবে না।